বেঙ্গালুরু : ছোট্ট ছেলেটির পছন্দের খাবার কেক। আর কেক কাটতে কোন বাচ্চা ভাল না বাসে ? কিন্তু পছন্দের কেক খেয়ে এমন মর্মান্তিক পরিণতি হবে কে জানত ! কেক খাওয়া মাত্রই অসুস্থতা, তারপরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে এক বছর পাঁচেকের ছেলে। ঘটনাটি বেঙ্গালুরুর। 


সোমবার বেঙ্গালুরুতে কেক খাওয়ার পরে ছেলেটি ও তার বাবা-মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।  অবস্থা গুরুতর হলে বাচ্চাটির বাবা  ও মা-কে কেম্পেগৌড়া হাসপাতালে  ভর্তি করা হয়। অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে পড়ে যে, তাঁদের আইসিইউতে রাখা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, খাবারে বিষক্রিয়ার জন্যই এমন করুণ পরিণতি। বাচ্চাটির ছেলেটির বাবা, বলরাজু একজন ফুড ডেলিভারি সংস্থায় কর্মরত। মা, নাগলক্ষ্মী গৃহবধূ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বাসি খাবার খেয়েই শরীরে বিষক্রিয়া ঘটে। কিন্তু কেন এতটা খারাপ অবস্থা হল, তা জানতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই খাবার সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠায়। বিশেষ কিছু পরীক্ষার পরেই নিশ্চিত হওয়া যেতে পারে, আসলে কী এমন ছিল ওই কেকে, যা কেড়ে নিল ১ টি বাচ্চার প্রাণ ! বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


সম্প্রতি শহরের বিভিন্ন কেকের দোকানে অভিযান চালিয়ে বিশেষজ্ঞরা কেকে ১২ টিরও ক্ষতিকারক কালারিং এজেন্ট পায়।  তা নিয়ে সকলকে সতর্কও করেন তাঁরা।  আলুরা রেড, সানসেট ইয়েলো এবং টারট্রাজিন কারমোইসাইন জাতীয় কালারিং এজেন্টগুলি খাবারে অতিরিক্ত পরিমাণে থাকলে শরীরের ওপর খুব ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে ।   ক্যান্সারের মতো  গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যাও বাঁধাতে পারে। 


কর্ণাটকের মন্ত্রী দীনেশ গুন্ডু রাও এর আগে জানিয়েছিলেন,  সরকার খাদ্য দ্রব্যের নমুনা পরীক্ষা শুরু করেছে এবং কয়েকটিতে কার্সিনোজেনিক পদার্থ পাওয়া গিয়েছে।  এগুলি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্তই ক্ষতিকর। মন্ত্রী বলেন, কর্ণাটকের সরকার প্রতি মাসে নমুনা পরীক্ষা করে দেখছে, কোনটা খাওয়া নিরাপদ আর কোনটা নিরাপদ নয়। অনেক নির্মাতারা অজান্তেই এসব পদার্থ ব্যবহার করছেন। আইন সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এটা করা হয়। তিনি আরও বলেন, উপভোক্তাদেরও সচেতন করা উচিত। এ প্রিজারভেটিভ, কালারিং এজেন্ট জাতীয় পদার্থগুলি খাওয়া ভাল নয়।  প্রাকৃতিক রং ব্যবহার করাই শ্রেয়।  ইতিমধ্যেই বেশ কিছু রঙের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।  


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে