রাত তখন সাড়ে ১০ টা। বিমান থেকে নেমে অ্যাপ ক্যাবের জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় এসে দাঁড়ান মহিলা। ক্যাব বুকও করেন অ্যাপের মাধ্যমে। সামনে এসে দাঁড়ায় গাড়িটি। গাড়িতে উঠতেই ড্রাইভার বলেন, অ্যাপ কাজ করছে না। তাই ওটিপিও চাননি তিনি। তারপর মোবাইলে ম্যাপ অ্যাপ খুলে দিয়ে বলেন, লোকেশন এন্টার করতে। তাঁর দাবি ছিল, নির্দিষ্ট অ্যাপ কাজ করছে না, তাই অন্য ম্যাপ অ্যাপ দিয়েই পথনির্দেশিকা দেখবেন । মহিলাও বিশ্বাস করে গাড়ি চালু করতে বলেন। খানিকটা পরেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা শুরু হয়। ড্রাইভার বাড়তি টাকা চাইতে শুরু করে। তিনি দিতে রাজি না হওয়াতেই বাজে ব্যবহার শুরু হয়ে যায়। চিৎকার করে টাকা দাবি করেন। তারপর ভয় দেখান, অন্য গাড়িতে 'ট্রান্সফার' করে দেবেন বলে। এখানেই শেষ নয়। তাঁকে যখন মহিলা বলেন, এয়ারপোর্টে ফিরিয়ে দিতে তখন তিনি তা অগ্রাহ্য করে সোজা নিয়ে চলে যান একটি পেট্রোল পাম্পে। বলেন ৫০০ টাকা দিতে। পরিবেশ এতটাই ভয়াবহ হয়ে ওঠে যে , মহিলা ভাবেন, তিনি যে কোনও মুহূর্তে ধর্ষিত হতে পারেন বা তাঁকে পাচার করে দেওয়া হতে পারে। তবে এটা পরিষ্কার নয়, অ্যাপ ক্যাব সংস্থার সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেছিলেন কি না। তবে মহিলা নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, শেষ পর্যন্ত হেল্পলাইন নম্বর ১১২ তে ফোন করে সাহায্য পান তিনি । তাতে রক্ষা পান শেষমেষ । ওই চালককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছ বেঙ্গালুরুতে। কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ক্যাব ধরেছিলেন অভিযোগকারিণী। মহিলা তাঁর পোস্টে, শহরে নারীদের নিরাপত্তা এবং বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অনেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কমেন্ট বক্সে লিখেছেন, তাঁদের এমন ধরনের অভিজ্ঞতা হয়েছে বলে। যদিও এই ঘটনায় কোনও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ নেই, তবে অতীতে বেঙ্গালুরুতে Rapido, Uber এবং Ola-এর মতো অ্যাগ্রিগেটরদের চালকদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।