নয়া দিল্লি: ভোপালের সতপুরা ভবনে বিধ্বংসী আগুন। প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে জ্বলছে ভোপালের এই অফিসটি। এই বিল্ডিংয়ে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকারের একাধিক দফতর। সময় যত এগিয়েছে পরিস্থিতি ততই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে আগুন নেভাতে এবার বায়ুসেনার সাহায্য চাইলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। তারপর রাতেই নামানো হয় সেনা। বায়ুসেনার বিমানে করে উপর থেকে জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু, সারারাতের চেষ্টার পরেও মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত জ্বলছে সতপুরা ভবন।


ইতিমধ্যেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর কাছে সেই আর্জি জানিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, বায়ুসেনার একটি বিশেষ বিমান আগুন নেভাতে এবং উদ্ধারকার্যে সাহায্যের জন্য ভোপালে পৌঁছয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে রাতেই আগুন নেভাতে বায়ুসেনার বিশেষ বিমান AN-32 ও মিগ ১৫ কপ্টার নামানো হয়। আগুন নেভানোর কাজের জন্য সারারাত ভোপাল বিমানবন্দরও খোলা ছিল। 


শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এই গোটা ঘটনাটি জানিয়ে ফোন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহান। কীভাবে আগুন নেভানোর কাজ চলছে এবং উদ্ধারকাজ চলছে সেই বিস্তারিত ব্যাখাও তিনি মোদিকে দেন বলে খবর। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী মোদিও তাঁকে যথাযথ এবং প্রয়োজনীয় সাহায্যর আশ্বাস দিয়েছেন।                             


ঠিক কী ঘটেছে?


সোমবার বিকেল ৪টে নাগাদ ভোপালের সাতপুরা ভবনের তিনতলায় অবস্থিত আদিবাসী কল্যাণ দফতরের আঞ্চলিক কার্যালয়ে আগুন লাগে। দ্রুত সেই আগুন উপরের তিনটি তলাতেও ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভবনে থাকা বেশ কয়েকটি বাতানুকূল যন্ত্র এবং গ্যাস সিলিন্ডারও আগুনের সংস্পর্শে আসে। বিস্ফোরণও হয়। আদিবাসী কল্যাণ দফতর এবং তার উপরে থাকা স্বাস্থ্য দফতরের সমস্ত কাগজপত্র আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে বলে খবর। তবে এই অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের কোনও খবর নেই।


এই সতপুরা ভবনে তবে আদিবাসী কল্যাণ, স্বাস্থ্য এবং পরিবহণ তিনটি সরকারি দফতরের অফিস ছিল। তিনটি দফতরই ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।  অফিসের সমস্ত কর্মী সুরক্ষিত অবস্থায় সময়মতো ওই ভবনের বাইরে চলে আসতে পেরেছিলেন। কীভাবে এই আগুন লাগল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। 


 


আরও পড়ুন, এক কেজি মধুর দাম গাড়ির দামের সমান! বিশ্বের সবচেয়ে দামি মধু পাওয়া যায় কোন দেশে?