কলকাতা : বিএসএফ-এর এক্তিয়ার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। এনিয়ে বামফ্রন্টের বৈঠকে প্রতিবাদ। "রাজ্যের কী অবস্থান, স্পষ্ট করুক সরকার", জানতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিচ্ছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। এটাকে "রাজ্যের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ বলে মনে করছে বামফ্রন্ট। একযোগে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা উচিত", প্রস্তাব বামফ্রন্টের বৈঠকে।
সীমান্ত সন্ত্রাস প্রতিরোধের লক্ষ্যে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ লাগোয়া ৩ রাজ্য-- পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও পঞ্জাবে বিএসএফ-এর কর্মক্ষেত্রের পরিসর বাড়িয়েছে কেন্দ্র। সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার ভিতর পর্যন্ত এলাকায় তল্লাশি, কিছু বাজেয়াপ্ত করা ও গ্রেফতারির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বিএসএফকে। অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ওই ৩ রাজ্যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডের ৫০ কিলোমিটার ভিতর অবধি এলাকায় তল্লাশি, অবৈধ সামগ্রী বাজেয়াপ্ত ও গ্রেফতার করতে পারবে বিএসএফ।
এই বিষয়টি নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি শিলিগুড়ি সফরে গিয়ে তিনি বলেন, "আগে বিএসএফ-এর হাতে ছিল ১৫ কিমি। এখন বলছে ৫০ কিমি পর্যন্ত ওনারা ঘুরতে পারবেন। এর মানেটা কী ?" যদিও তিনি জানিয়ে দেন, এজেন্সি নয়, তাঁর অভিযোগ সেই রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে, যাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বলেন, "আমি কোনও এজেন্সির বিরুদ্ধে বলছি না। আমি বিএসএফ-কে সম্মান করি। কিন্তু যে পলিটিক্যাল লোকেরা এসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তারা অশান্তিতে উস্কানি আর বর্ডারে বর্ডারে লড়াই বাধাতে চায়। আসলে এসব বলে সব ক্ষমতার অধিকার চায়।
এই আবহেই দিনকয়েক আগে সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজিপি, এসপিদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা। "অবিলম্বে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য় সীমানা চিহ্নিতকরণ করতে হবে। দ্রুত জমি অধিগ্রহণ করে কাঁটাতারের বেড়ার কাজ শেষ করতে হবে। সীমান্তে ২৮৯ কিমি কাঁটাতারের বেড়া হওয়ার কথা। জমি-জটের সমস্যা মিটেছে ১৮২ কিমি। এখনও ১০৭ কিমি সীমান্ত এলাকায় জমি-জট। কেন্দ্রের কাছে সীমান্ত সুরক্ষা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।" রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব এমনই বলেন বলে সূত্রের খবর।