নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা মেলেনি। এবার রাজ্যসভাতেও দুর্বল হয়ে পড়ল বিজেপ। রাকেশ সিনহা, রাম শকল, সোনাল মানসিংহ এবং মহেশ জেঠমালানি, শনিবার রাজ্যসভায় বিজেপি-র এই চার মনোনীত সদস্যের কার্যকালের মেয়াদ ফুরিয়েছে। আর তাতেই সংসদের উচ্চকক্ষেও শক্তি কমল কেন্দ্রের শাসকদলের। (Rajya Sabha)


জোট নিরপেক্ষ সদস্য় হিসেবে, শাসকদলের পরামর্শে ওই চারজনকে রাজ্যসভায় মনোনীত করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। পরবর্তীতে তাঁরা কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারে যোগ দেন। গত শনিবার তাঁদের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রাজ্যসভায় বিজেপি-র আসনসংখ্যা ৮৬-তে এসে ঠেকেছে। সবমিলিয়ে রাজ্যসভায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন NDA জোটের আসনসংখ্যা এই মুহূর্তে ১০১। (Rajya Sabha Seats)


রাজ্যসভার মোট আসনসংখ্যা ২৪৫। এর মধ্যে নির্বাচিত সদস্য ২৩৩ জন, ১১ জন মনোনীত। সেই নিরিখে রাজ্যসভার ম্যাজিক সংখ্যা ১১৩। অর্থাৎ বিজেপি এবং তাদের জোটের কাছে সেই সংখ্যা নেই। যদিও আরও সাত জন মনোনীত এবং একজন নির্দল সদস্যের সমর্থন রয়েছে তাদের কাছে। ফলে বিল পাশের ক্ষেত্রে রাজ্যসভাতেও এই মুহূর্তে অন্যের উপর নির্ভরশীল বিজেপি। 


আরও পড়ুন: Doda Encounter: কাশ্মীরে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই, শহিদ সেনা আধিকারিক সহ ৪ সেনা জওয়ান


এই মুহূর্তে রাজ্যসভার মোট সদস্য সংখ্যা ২২৫। এর মধ্যে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন I.N.D.I.A জোটের ৮৭ জন সদস্য রয়েছেন। রাজ্যসভায় কংগ্রেসের ২৬, তৃণমূলের ১৩, আম আদমি পার্টি, DMK-র ১০ জন করে সাংসদ রয়েছেন। বিজেপি অথবা কংগ্রেস, কারও না ধরেই কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের ভারত রাষ্ট্র সমিতির সাংসদরা রয়েছেন রাজ্যসভায়। পাশাপাশি, নির্দল সদস্যরাও রয়েছেন। রাজ্যসভায় বর্তমানে ২০টি আসন শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে ১১টি আসনে এবছর নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। 


রাজ্যসভার যে ১১টি আসনে নির্বাচন হওয়ার কথা, তার মধ্যে দু'টি করে আসন মহারাষ্ট্র, অসম এবং বিহার থেকে। হরিয়ানা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, তেলঙ্গানা এবং ত্রিপুরা থেকে একটি করে আসল রয়েছে। অসম, বিহার, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ত্রিপুরায় জেলাতর সম্ভবনা রয়েছে বিজেপি এবং NDA-র। মহারাষ্ট্রতেও সম্ভাবনা রয়েছে যথেষ্ট। মনোনীত সদস্যদের পাশাপাশি YSR কংগ্রেসের সমর্থন জোগাড় করতে পারলেই, অনেকটা সুবিধাজনক জায়গায় চলে যাবে NDA. জম্মু ও কাশ্মীরের চারটি আসনও শূন্য পড়ে রয়েছে। অন্য দিকে, তেলঙ্গানার আসনে কংগ্রেসের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে রাজ্যসভায় প্রধান বিরোধী দলনেতার পদটিও তাদের দখলে যাবে। ফলে সংসদের দুই কক্ষেই কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা থাকবেন।