নয়াদিল্লি : রাজ্যসভা ভোটের (Rajya Sabha Elections 2024) প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রয়েছে ভোট। ওই দিনেই ৫৬টি আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রার্থী করা হয়েছে শমীক ভট্টাচার্যকে (Samik Bhattacharya)। বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। এনিয়ে দল, সংগঠন, বাংলার মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ প্রকাশ করেন তিনি।


গেরুয়া শিবিরে যাঁরা সুবক্তা হিসাবে পরিচিত, তাঁদের মধ্যে অন্যতম শমীক। বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি দলের পক্ষ থেকে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তাঁর ক্ষুরধার বিশ্লেষণ নজর কাড়ে রাজনৈতিক মহলের। এই মুহূর্তে তিনি দলের রাজ্য মুখপাত্রের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। বিভিন্ন ইস্যুতে দলের অবস্থান বর্ণনা করতে তাঁর যুক্তিসম্মত বক্তব্য ও নিখুঁত শব্দচয়ন বাংলার রাজনৈতিক মহলে সুবিদিত। তাছাড়া দলের ভাল সময় হোক বা কঠিন সময়, তিনি বরাবর পার্টি-অন্ত প্রাণ হিসাবে নিজের ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন।


বসিরহাট কেন্দ্র থেকে তিনি বিজেপি বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৪ সালে উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় প্রবেশ করেন শমীক। অবশ্য ২০১৯ সালে দমদম লোকসভা কেন্দ্র থেকে তিনি পরাস্ত হন। সেবার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সৌগত রায়ের কাছে হেরে যান তিনি। এছাড়া ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও হেরে যান। 


রাজ্য বিজেপিতে বিভিন্ন সময়ে দ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠলেও, কোনও দিনই তাতে নাম জড়ায়নি শমীকের। বরাবর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁর উপর আস্থা রেখেছেন। এবার দল তাঁকে রাজ্যসভায় মনোনয়ন দিয়ে দলের প্রতি তাঁর আনুগত্যের স্বীকৃতি দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 


শমীক বলেন, "পার্টির কাছে কৃতজ্ঞ। সংগঠনের কাছে কৃতজ্ঞ। সর্বোপরি বাংলার মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যেরকম আমাকে মনোনীত করেছেন রাজ্যসভায় পাঠানোর জন্য, একই সময়ে মনে রাখতে হবে বাংলার মানুষ এই পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আমাদের সেই সংখ্যা দিয়েছেন। যাতে আমরা পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভায় একজন সদস্য পাঠাতে পারি। আমার সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ছে বিশেষ করে, যখন '৮০-র দশকে আমি-রাহুলদা পার্টি অফিসে বসে থাকতাম। বুদ্ধদেববাবু বলতেন, যাঁদের বিধানসভায় কোনও প্রতিনিধিত্ব নেই, আমরা তাঁদের সর্বদলীয় বৈঠকে ডাকি না। রাহুলদা ও আমার সেইসব দিনের কথোপকথন। অনেক মানুষই নেই সেইসব দিনের। যাঁরা হয়তো আজ খুশি হতেন যে কলকাতা থেকে রাজ্যসভায় আমাদের শক্তিতে কেউ প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন। বাংলার মানুষের জন্য তাঁদের প্রতিনিধি হিসাবে, দলের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করব। ১৮ বছর বয়সের আগের থেকেই এই দলের সদস্য। এই পরিবারের সদস্য। পরিবারের কাছেও কৃতজ্ঞ।"