কালোবাজারি? দোকানে মিলছে না করোনা প্রতিরোধী মাস্ক, স্যানিটাইজার
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ | 13 Mar 2020 10:46 AM (IST)
এসএসকেএম হাসপাতালের আশেপাশে কম করেও অন্তত ৫০টি ওষুধের দোকান আছে। তার মধ্যে মাত্র একটি দোকানে এন-৯৫ মাস্ক আছে। দাম ৩০০ টাকা!
সন্দীপ সরকার ও অনির্বাণ বিশ্বাস ও পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারির পরেও কলকাতায় করোনা প্রতিরোধকারী মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ঘিরে কালোবাজারির অভিযোগ উঠল। অধিকাংশ দোকানেই মিলছে না মাস্ক আর স্যানিটাইজার। করোনা আতঙ্কের আবহে মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ ওঠায় কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন জায়গায় অভিযানও চালায় প্রশাসন। কিন্তু, বাস্তবে দক্ষিণ কলকাতার অধিকাংশ ওষুধের দোকানেই মিলছে না এন-৯৫ মাস্ক আর হ্যান্ড স্যানিটাইজার। বিশেষ করে বড় ওষুধের দোকানগুলিতে আকাল প্রকট। এসএসকেএম হাসপাতালের আশেপাশে কম করেও অন্তত ৫০টি ওষুধের দোকান আছে। তার মধ্যে মাত্র একটি দোকানে এন-৯৫ মাস্ক আছে। দাম ৩০০ টাকা! সারা বছর যে মাস্ক ১০০ টাকায় মেলে, তার দাম আজ ৩ গুণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মাস্ক পরলেই যে করোনা সংক্রমণ ঠেকিয়ে দেওয়া যাবে, এমনটা নয়। তবুও বাজারে তৈরি হয়েছে মাস্কের আকাল। এই পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে সিপিএম আর কংগ্রেস। সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী এত কিছু বলার পরেও দেখা যাচ্ছে, বাজারে মাস্ক নেই। শুধু বক্তৃতা দিলে হবে না, এগুলো দেখতে হবে। আবার কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী প্রশ্ন করেছেন, স্কুলে স্কুলে জুতো-ব্যাগ বিলি করা গেলে মাস্ক কেন নয়। যদিও, সরকার দাবি করেছে, করোনা প্রতিরোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে নবান্ন। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আবার করোনা নিয়ে আজব তত্ত্ব খাড়া করেছেন। তাঁর মতে, করোনাভাইরাস বেশ বড়, বাড়িতে কাপড়ের মাস্ক করলে তাতেই আটকে যাবে। এর মধ্যে বিভিন্ন শপিং মল নিজেরাই কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার একটি মলের সমস্ত গেটে গ্রাহকদের দেওয়া হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার।