মুম্বই: বম্বে হাইকোর্টে সাময়িক স্বস্তি পেলেন কঙ্গনা রানাউত, তাঁর বোন রাঙ্গোলি চান্ডেল। তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআরের ব্যাপারে পরবর্তী আদেশ ঘোষণা হওয়া পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নিতে মুম্বই পুলিশকে বারণ করল আদালত। তবে তাঁদের এজন্য় একটি শর্ত মানতে হবে। তা হল, ৮ জানুয়ারি বক্তব্য নথিভুক্ত করাতে মুম্বই পুলিশের কাছে হাজিরা দিতে হবে তাঁদের। ততদিন কোনও দমনমূলক পদক্ষেপ করা যাবে না। কঙ্গনা ও রঙ্গোলির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষপূর্ণ ট্যুইট পোস্ট করার অভিযোগে এফআইআর দায়ের হয়েছে। সে ব্যাপারেই বম্বে হাইকোর্ট গ্রেফতারি থেকে অন্তর্বর্তী সুরক্ষা দিল দুই বোনকে।
সাম্প্রদায়িক টেনশন ছড়ানোর লক্ষ্যে সোস্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর মন্তব্য পোস্ট করার অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়। এব্যাপারে রুজু হওয়া এফআইআরটি বাতিলের আবেদন জানিয়ে পিটিশন দিয়েছিলেন ক্যুইন অভিনেত্রী ও তাঁর বোন। তারই শুনানি হয় আজ হাইকোর্টে। গতকাল ও আজ তাঁদের মুম্বই পুলিশের সামনে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল।
আপত্তিকর মন্তব্যের ব্যাপারে কঙ্গনা, তাঁর বোনকে এর আগেও দুবার, ২৬ ও ২৭ অক্টোবর ও ৯-১০ নভেম্বর তলব করা হয়েছিল। কিন্তু মুম্বই পুলিশের সামনে হাজিরা দেননি তাঁরা। আইনজীবী মারফত জানিয়ে দেন, ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষ্যে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ব্যস্ত থাকবেন। মুম্বই পুলিশ তৃতীয় নোটিস পাঠিয়ে কঙ্গনা, রঙ্গোলিকে জেরার জন্য যথাক্রমে ২৩ ও ২৪ নভেম্বর হাজির হতে বলে।
কঙ্গনা, রঙ্গোলির বিরুদ্ধে সোস্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর মন্তব্যের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা, বিভেদ ছড়ানোর অভিযোগ দায়ের করেছেন কাস্টিং ডিরেক্টর ও ফিটনেস ট্রেনার মুনওয়ার আলি সঈদ। বান্দ্রার মেট্রপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত পুলিশকে অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয়।
২ বোনের বিরুদ্ধে রুজু হওয়া এফআইআরে রাষ্ট্রদ্রোহিতা, ধর্ম, জাতপাতের ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা ছড়ানো, ধর্মীয় আবেগে আঘাতের অভিযোগ তোলা হয়।
চলতি বছরেই সুশান্ত সিংহ রাজপুত মৃত্যু মামলার তদন্ত নিয়ে সমালোচনার জেরে কঙ্গনার সংঘাত হয় মুম্বই পুলিশ ও মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে। কঙ্গনা মুম্বইয়ে নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন বলে মন্তব্য করেছিলেন, মুম্বইয়ের তুলনা টেনেছিলেন পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে। এজন্য তাঁকে টার্গেট করে বৃহন্মুম্বই পুরসভা তাঁর দপ্তরে ভাঙচুর চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।