নয়াদিল্লি: ক্ষমতা ধরে রাখলেন বরিস জনসন। ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টিকে হারিয়ে বিরাট জয় পেন কনজারভেটিভ পার্টি। হাউস অফ কমনসে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য জরুরি ৩২৬ আসন ইতিমধ্যেই তারা পেয়ে গিয়েছে।


ভোটে হার নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় লেবার পার্টির নেতৃত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জেরেমি করবিন। দেখা যাচ্ছে, লেবার পার্টির এতদিনের নিশ্চিত আসনেও থাবা বসিয়েছে ক্ষমতাসীন রক্ষণশীলরা। ব্রেক্সিট নিয়ে অনিশ্চয়তার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যে আগাম ভোটের সুপারিশ করেন, দেখা যাচ্ছে, তা ফলপ্রসূ হয়েছে। ২০১৭-য় পার্লামেন্টে কনজারভেটিভদের ছিল ৩৩০টি আসন, এবার বেড়ে হয়েছে ৩৫৮। অর্থাৎ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য জরুরি ৩২৬ আসন সংখ্যা ইতিমধ্যেই টপকেছে তারা।

জনসন এবার ভোটেই লড়েন ব্রেক্সিটের হাওয়ায়। স্লোগান ছিল গেট ব্রেক্সিট ডান। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে আগাম ভোটে জোর দেন, তার সুফলও কুড়িয়েছেন তিনি। থেরেসা মের হাত থেকে সংখ্যালঘু এই সরকার আসে জনসনের হাতে। ব্রেক্সিটের ওপর জনমত পেতে ২০১৭-য় নির্বাচন করান মে কিন্তু হেরে যান। হাউস অফ কমনসে তিনবার তাঁর ব্রেক্সিট থেকে বেরিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত চুক্তি প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় এ বছরের শুরুতে পদত্যাগ করেন তিনি।

১০, ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, জনসন ক্ষমতায় ফিরলে ১৬ তারিখ মন্ত্রিসভার সামান্য পরিবর্তন হবে। এরপর ২০ তারিখ হাউস অফ কমনসে আসবে উইথড্রয়াল এগ্রিমেন্ট বিল, যার ফলে আগামী বছর ৩১ জানুয়ারি ব্রেক্সিটের পথ সুগম হবে। ফেব্রুয়ারিতে ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে বেরিয়ে এলে মন্ত্রিসভায় হবে বড় পরিবর্তন।