নয়াদিল্লি : আদানি ইস্যুতে সংসদে তুলকালাম চলছেই। সপ্তাহের প্রথমদিন থেকেই উত্তাল সংসদ। এদিনও দুপুর দুটো পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে গেল লোকসভা ও রাজ্যসভা। দেশজুড়ে  সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনেই কংগ্রেসের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। 



তার আগে আদানি ইস্যুতে JPC অথবা সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে তদন্তের দাবিতে এদিন সংসদ ভবন চত্বরে গান্ধীমূর্তির সামনে ধর্নায় বসে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। ধর্নায় অংশ নেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন ও মহুয়া মৈত্র। তবে তার আগে সংসদের অন্দরের রণকৌশল ঠিক করতে, বিরোধীদের বৈঠকে যোগ দেয়নি তৃণমূল। মল্লিকার্জুন খাড়গের ডাকা এদিনের বৈঠকে যোগ দেয় DMK, NCP, JDU, সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টি, শিবসেনা-সহ বাম দলগুলি। কংগ্রেস সূত্রের খবর, সংসদে রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের ওপরে ধন্যবাদজ্ঞাপন পর্বের আলোচনায় অংশ নিয়ে, আদানি ইস্যুতে সুর চড়াতে চায় তারা। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কেন চুপ, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। 



বৈঠকে যোগ দিল না তৃণমূল


দেশের সব জেলায় এলআইসি ও এসবিআই শাখার সামনে বিক্ষোভ দেখাবে  কংগ্রেস। সংসদ ভবন চত্বরে সকাল সাড়ে ১০টায় গাঁধীমূর্তির সামনে কংগ্রেসের ডাকে ধর্না হয়। এই প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করল তৃণমূল। কিন্তু সংসদের অন্দরের রণকৌশল ঠিক করতে বিরোধীদের নিয়ে যে বৈঠক ডেকেছিল কংগ্রেস, তাতে যোগ দেয়নি ঘাসফুল শিবিরের কোনও সাংসদ। বৈঠকেই যাননি বাংলার শাসকদলের কোনও প্রতিনিধি। যা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর! আদানি ইস্য়ুতে তৃণমূলের অবস্থান কী? তাহলে কি আদানি ইস্য়ুতে তৃণমূলের অবস্থান নিয়ে অস্পষ্টতা আছে ? এই প্রসঙ্গে একটি ট্যুইট করেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন । তাতে তিনি লেখেন, তৃণমূল বিতর্ক চায়, সংসদ অচল করতে চায় না। তিনি আরও লেখেন, ' ভয় পেয়েছে বিজেপি। সংসদে বিতর্ক থেকে পালানোর চেষ্টা করছে। ৬ ফেব্রুয়ারি উভয় কক্ষে রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিয়ে বিতর্ক হবে, তখন থেকে মোদি সরকারকে তিরস্কার করার দুর্দান্ত সুযোগ পাওয়া যাবে।