কলকাতা: কখনও তোলাবাজি নিয়ে সরাসরি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অভিযোগ আসছে। তো কখনও উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রীকে তোলাবাজি নিয়ে ফোন করে অভিযোগ জানাতে হচ্ছে! আর এবার এক্কেবারে ভিন দেশের সংস্থার কাছ থেকে তোলা চাওয়ার অভিযোগ। বজবজ পুরসভার ৩ তৃণমূল কাউন্সিলরের নামে হাইকোর্টে নালিশ সংস্থার। নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ওঠায় পুলিশকে তিরস্কার প্রধান বিচারপতির!
অভিযোগকারী নেপালি সংস্থা দুটির দাবি, বিদেশ থেকে তারা ভোজ্য তেল আমদানি করে। মজুত করা হয়, হলদিয়া এবং বজবজে। এতদিন সড়ক পথে নেপালে ওই কাঁচামাল নিয়ে যাওয়া হত। কিন্তু মাল বহনের জন্য সম্প্রতি রেলপথ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয় তারা। সেইমতো বজবজ থেকে ট্যাঙ্কারে করে মাঝেরহাট স্টেশনে কাঁচামাল নিয়ে যাওয়া শুরু হয়।
অভিযোগ, এর পর থেকেই সংস্থাগুলিকে নানা ভাবে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। সুরাহা চেয়ে জুন মাসে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তর এজলাসে মামলা করে তারা। যার প্রেক্ষিতে পুলিশকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। নির্দেশের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে মামলা করে বজবজ অয়েল ট্যাঙ্কার অ্যাসোসিয়েশন। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে নেপালি সংস্থা দুটির আইনজীবী বলেন, ১৮ জুলাই বজবজে ট্যাঙ্কারে কাঁচামাল ভরার সময় এজেন্টদের অপহরণের পাশাপাশি সহযোগী একটি সংস্থার আধিকারিকদের হুমকি দেওয়া হয়। ১৯ জুলাই পুলিশের সামনেই হুমকির মুখে পড়েন ট্যাঙ্কার চালকরা। নেতৃত্ব দেন বজবজ পুরসভার ১৩, ১৬ এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা। ওইদিনই ডিএম, এসপি ও ওসিকে অভিযোগ জানানো হয়।
এ কথা শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রধান বিচারপতি। বলেন, সাধারণ মানুষ থানায় গেলে, কী হয় জানি। কেন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি? এটা কি ইয়ার্কি হচ্ছে? ভারত সরকার তার রাজস্ব হারাচ্ছে! নেপালি সংস্থাদুটির আইনজীবী সুমৌলি সরকার জানান, তৃণমূল কাউন্সিলররা হুমকি দিচ্ছে, আমার ক্লায়েন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
হাইকোর্টের নির্দেশ, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপারকে আদালতে হাজির হয়ে, গোটা ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে হবে।