কলকাতা: করোনা সঙ্কটের জেরে ৮ মাসের বেশি সময় রাজ্যে স্কুল বন্ধ। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় যারা বসবে, তাদের স্কুলে ক্লাস হয়েছে সব মিলিয়ে আড়াই মাস। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কোনও ক্লাস হয়নি। সাধারণত মাধ্যমিক পরীক্ষা হয় ফেব্রুয়ারিতে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হয় মার্চে। ই দু’টি পরীক্ষা কবে হবে এখনও ঠিক নেই।
এই পরিস্থিতিতে দু’টি দিল্লি বোর্ডের মতো মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাসের ভার কমাল সরকার। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ সিলেবাস কমল।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, মাধ্যমিকে, উচ্চমাধ্যমিকে ২০২১-এ ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ সিলেবাস কমানোর সুপারিশ গ্রহণ করল সরকার। বিষয়ভিত্তিক তথ্য পর্ষদ এবং সংসদ ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেবে।
আইসিএসই, সিবিএসই- র অনলাইনে ক্লাস হলেও, রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে তা পুরোপুরি করা যায়নি। টিভি চ্যানেল, পোর্টাল, অনলাইন ফোনে পড়ুয়াদের সাহায্য করা হয়েছে। সরকারি সূত্রে দাবি, তারপরও ঘাটতি পূরণে সিলেবাসের ভার কমানোর সিদ্ধান্ত।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, স্কুল কবে খুলবে? স্কুল না খুললে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাই বা কোথায়, কীভাবে হবে? এখনও করোনা যা ভয়াবহ চেহারা, তাতে স্কুল যে আপাতত খুলছে না, তার ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বর্তমান যা পরিস্থিতি, আবার তো ফিরে আসছে করোনা। অনেক রাজ্য তো স্কুল খুলে আবার বন্ধ করেছে। কোন পথে গেলে পড়ানো এবং পড়ুয়াদের স্বার্থ সুরক্ষিত হবে, সেই পথ খুঁজছি।
সরকার পরিকল্পনা নিয়েছিল, ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে কলেজ , বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা-ও যে আলোচনা সাপেক্ষ, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। ডিসেম্বরে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় খোলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা উপাচার্যদের সঙ্গে কথা বলব। তাঁদের মনোভাব জানব। তারপর মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।
এখনও করোনা সংক্রমণ চোখ রাঙাচ্ছে। ভ্যাকসিনের ভবিষ্যত্ এখনও অনিশ্চিত। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ছাড়া এবার অন্যান্য ক্লাসের পড়ুয়ারা স্বাভাবিক ভাবে পরের ক্লাসে উঠে যাবে। জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে নতুন শিক্ষাবর্ষ। এই প্রেক্ষাপটে কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা সম্ভব তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে সরকার।