কলকাতা:  রাতের শহরে তরুণীর ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা! পিছু ধাওয়া করে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ। পাঁচ ধৃতকে তিনদিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠাল আদালত।
বছর ২২-র তরুণী গুয়াহাটির বাসিন্দা। সল্টলেকে নামী তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী। বছর খানেক ধরে কেষ্টপুরে ভাড়া থাকেন। তাঁর অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ, বৈশাখী থেকে ভাড়া বাড়িতে ফেরার সময় কেষ্টপুরের সমরপল্লি এলাকায় পিছু নেয় একটি সাদা গাড়ি। গাড়িতে বসে পাঁচ ব্যক্তি। বিপদের আভাস পেয়ে গলিতে ঢুকে পড়েন তরুণী। গলি থেকে বড় রাস্তায় বেরোতেই দেখেন, গাড়িটি সেখানে দাঁড়িয়ে! কোনও মতে একটি বাড়িতে ঢুকে রক্ষা পান।

রাতেই বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করে অভিযোগ জানান তরুণীর এক বন্ধু। এরপর পুলিশ নিজেই তরুণীর সঙ্গে দেখা করে। তাঁকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান তদন্তকারীরা।
ঘটনায় কেষ্টপুরের বাসিন্দা ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মূল অভিযুক্তের নাম বিশ্বজিৎ মজুমদার। পেশায় প্রোমোটার এবং ওই গাড়ির মালিক। আরেকজন সজল দাস। যিনি কর্মসূত্রে দক্ষিণ আফ্রিকায় ছিলেন। সম্প্রতি কলকাতায় ফেরেন। তৃতীয় অভিষেক বাছার। ধৃত বিশ্বজিৎ মজুমদারের আত্মীয়। অপর দু’জন হলেন কিশোর ও অভিষেক দাস। দু’জনেই জমি-বাড়ির দালাল।

ইতিমধ্যে গাড়িটি আটক করেছে পুলিশ। ঘটনায় শ্লীলতাহানি, পিছু ধাওয়া, অশালীন অঙ্গভঙ্গি, জোর করে আটকে রাখা সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে ধৃতদের পরিবার। এদিন বারাসাত আদালতে তোলা হলে ধৃতদের জামিনের আর্জি খারিজ করে ৩দিনের পুলিশ হেফাজত দেন বিচারক। ধৃতদের সনাক্তকরণে হবে টিআই প্যারেড করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার পর থেকে চরম আতঙ্কে সল্টলেকে কর্মরত তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা।