কলকাতা: সরকারি সম্পত্তি রক্ষা ও ভাঙচুর বন্ধে নতুন আইন করেছে রাজ্য সরকার। দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল মেইনটেনেন্স অফ পাবলিক অর্ডার অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট। এবার সেই আইনের প্রথম প্রয়োগ। ১৪ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানো হল মধুজা সেন রায়, সায়নদীপ মিত্র-সহ বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের ৮ নেতা-নেত্রীকে।
বৃহস্পতিবার, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কলেজ স্কোয়ার থেকে রাজভবন অভিযানের ডাক দেয় ডিওয়াইএফআই ও এসএফআই। ধর্মতলায় মিছিল আটকালে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন, বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
সেই ঘটনাতেই, সরকারিক সম্পত্তি ভাঙচুরের চেষ্টার অভিযোগে প্রথমবার প্রয়োগ হল নয়া আইনের। দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল মেইনটেনেন্স অফ পাবলিক অর্ডার অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্টের ৮, ৯, ১৫এ, ১৫বি এবং ১৫সি সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, বিক্ষোভ, গণ্ডগোল, মারধর, সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারা। ঘটনায় ৮৬ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। জামিন পান ৭৮ জন। যদিও ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সভাপতি সায়নদীপ মিত্র, এসএফআই-এর রাজ্য সভানেত্রী মধুজা সেন রায়-সহ ৮ জনের জামিন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
তবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ডিওয়াইএফআই ও এসএফআই। ভাঙচুর বন্ধে আগে একাধিকবার কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার আর বার্তা নয়, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের চেষ্টার অভিযোগে নতুন আইনের প্রথম প্রয়োগ।