কলকাতা:  নরেন্দ্র মোদী সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের একমাস পূর্ণ। একমাসে ধস্ত অর্থনীতি, এক কানাকড়িও কালো টাকা উদ্ধার হয়নি, বিদেশে থাকা কালো টাকা উদ্ধারে এখনও অসফল কেন্দ্রীয় সরকার, এটিএম বা ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে গিয়ে বহু সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই সমস্ত কিছুর জবাব দিক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, দাবি মমতার। তাঁর আরও দাবি সারা দেশের বর্তমান এই দুরবস্থার দায়িত্ব নিক মোদী সরকার।

গত মাসের আট তারিখ নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন মোদী। তারপর থেকে এই একমাস মানুষকে শুধু নাজেহাল হতে হয়েছে। এই একমাস মানুষের সঙ্গী হয়েছে শুধু যন্ত্রণা, ব্যাঙ্ক বা এটিএম-এ গিয়ে আশাহত হয়েছে, প্রবল অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে কাটাতে হয়েছে প্রত্যেককে। এই সবকিছু কেন সহ্য করতে হচ্ছে আমজনতাকে জবাব দিক মোদী, দাবি মমতার।

কেন্দ্রের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পর গত একমাসে বিরোধীদের মধ্যে সবচেয়ে সোচ্চার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজধানী গিয়েও প্রতিবাদ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে শিবসেনা সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও দেখা করেন মমতা। দিল্লির সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজারে কেজরীবালের ডাকা প্রতিবাদ সভায় যোগ দেন তিনি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে প্রতিবাদ আন্দোলন করেন।

সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরুর পর থেকে কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলির সঙ্গে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিদিনই প্রতিবাদ আন্দোলন করছে তৃণমূল।
তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার কথা আগে থেকেই জানত বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা। তাই তাঁরা কালো টাকা সাদা করতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় জমি কিনে রেখেছে। ব্যাঙ্কে আগে থেকেই পুরনো ৫০০ ও হাজারের নোট জমা দিয়ে দিয়েছে, সোনা-হীরেতেও বিনিয়োগ করেছে। এই দ্বিচারিতা কেন, প্রশ্ন মমতার।