দমদম: বিয়ের পাঁচ মাসের মধ্যেই দমদমে বধূর রহস্যমৃত্যু। শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। উচ্চশিক্ষায় পড়তে চাওয়ায় অত্যাচার। জোর করে গর্ভপাতের অভিযোগ।


মুখ বুঝে শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচার সহ্য করছিলেন সেই মেয়ে। মাত্র ছ মাস আগে বিয়ে হয়েছিল। গত ছমাসের অত্যাচারে বাঁধ ভাঙে গতকাল। মৃত্যুর ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে বাড়ির লোককে একাধিক মেসেজে নিজের অবস্থার কথা জানিয়ে দিয়ে যান দমদমের শ্রাবন্তী মিত্র। সেই বার্তায় লেখা ছিল ‘আজ বড় বউ আমাকে ছুরি-চামচ ছুড়ে মেরেছে... কোনও প্রমাণ নেই যেহেতু, আমিই মিথ্যেবাদী হয়ে যাব। গলার নীচে চিরে চিরে ফুলে গিয়েছে...’



আগে কাউকে কিচ্ছু বলেনি। পরিবারের দাবি, মুখ বুজে সব অত্যাচার সহ্য করেছেন দমদমের ওই বধূ।

মাত্র ৬ মাস আগে মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা ওই তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয় দমদমের বিশ্বদেব মিত্রর। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে শুরু হয় অত্যাচার।

বুধবার শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বধূর ঝুলন্ত দেহ।

মৃতের বাপের বাড়ির দাবি, বিয়ের পরেও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন স্নাতকোত্তর শ্রাবন্তী। তাতেও আপত্তি ছিল শ্বশুরবাড়ির।

পরিবারের দাবি, সহ্য করতে না পেরে মঙ্গলবার মোবাইল ফোনে শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে আহত হওয়ার ছবি দিদিকে পাঠিয়েছিলেন শ্রাবন্তী। লিখেছিলেন,

‘তুমি ওকে ধরে সেদিন মারবে... কেটে ফেলবে... ছিঁড়ে ফেলবে। এই কথাগুলো শম্পা আর বাসু বলেছিল। পুরো ইনসিডেন্টটা এত চিপ যে কী বলব! এরপরেও আমাকে ওদের সাথে ভাত খেতে হবে’।

শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অত্যাচারের কথা দিদিকে লিখে জানিয়েছিলেন শ্রাবন্তী।

যেমন করে ২ হাজার ৪২৩ কিলোমিটার দূরের

পাকিস্তানের সোয়াট উপত্যকায় বসে তালিবানি অত্যাচার নিয়ে বিবিসি-উর্দুতে ব্লগ লিখেছিলেন  ১৫ বছরের মালালা ইউসুফজাই।

নারী শিক্ষার প্রচার করায় তালিবানের কোপে পড়েন ১৫ বছরের কিশোরী।

২০১২ সালের ৯ অক্টোবর

উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে স্কুলবাসের মধ্যে তাঁকে গুলি করে তালিবান জঙ্গিরা৷ কিন্তু মালালাকে রোখা যায়নি। তালিবান তাকে শিক্ষালাভের ইচ্ছে থেকে টলাতে পারেনি।

মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন জীবনের মূল স্রোতে।

কিন্তু ফিরতে পারলেন না দমদমের শ্রাবন্তী। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।