কলকাতা: শুধু দুর্ঘটনার তত্ত্বে সিলমোহর দেওয়াই নয়, আবেশ দাশগুপ্তর মৃত্যুর ঘটনায় তার বন্ধুদেরও কার্যত ক্লিনচিট দিয়ে দিল লালবাজার। ঘটনার পর আবেশের কয়েকজন বন্ধু ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। যদিও গোয়েন্দাপ্রধান বিশাল গর্গের দাবি, সব বন্ধুই দুর্ঘটনার পর আবেশের কাছে ছুটে গিয়েছিল। তারা আবেশকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল।
গোয়েন্দাপ্রধানের এ-ও দাবি যে, আবেশের এক বন্ধু ১০০ নম্বরে ফোনও করেছিল এবং ৩ জন বন্ধু লেখক অমিত চৌধুরীর ফ্ল্যাটে গিয়েছিল তাঁদের খবর দিতে। যদিও পুলিশের এই তত্ত্ব মানতে নারাজ আবেশ দাশগুপ্তর পরিবার।
শনিবার, বালিগঞ্জের সানি পার্কে অমিত চৌধুরীর ফ্ল্যাটে একটি জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিল আবেশরা। গোয়েন্দাপ্রধান বিশাল গর্গের দাবি, দুপুরে ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে শরত্‍ বোস রোডের একটি দোকান থেকে মদ কেনে আবেশরা। তারপর মধ্যাহ্নভোজের জন্য টালিগঞ্জ ক্লাবে যায় তারা।
কিন্তু, সবার মেম্বারশিপ কার্ড না থাকায়, সেখানে আবেশদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তারপর প্রিন্সটন ক্লাবে গিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সারে তারা। বিকেলে সানি পার্কে ফিরে আসে আবেশরা। এবং এরপর আবেশদের মধ্যে ৩-৪ জন কিশোর সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউয়ে গিয়ে মদ কেনে।
লালবাজার সূত্রে দাবি, সানি পার্কের বহুতলের পার্কিং লটে বসে মদ্যপান করেছিল আবেশরা। সেই মদ্যপানই কি ডেকে আনল বিপদ? দুর্ঘটনা না খুন, এই নিয়ে বিতর্ক থাকলেও রয়ে গেল প্রশ্নটা।