কলকাতা:  ৯ দিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু, আবেশ দাশগুপ্তর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। প্রতিদিনের মতো রবিবারও বাড়ির বাইরে রাখা আবেশের ছবির সামনে নীরব প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে জ্বলে ওঠে মোমবাতি।
কিন্তু, মোমের আলো আবেশের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা কাটাতে পারছে না। পুলিশ সূত্রে দাবি, এর সবথেকে বড় কারণ, যারা সামনে থেকে সেই ঘটনা দেখেছে, তাদের কথাই একে অপরের সঙ্গে মিলছে না।
রবিবার আবেশ দাশগুপ্তর দশজন বন্ধুকে ফের লালবাজারে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দা এবং বিশেষ তদন্তকারী দলের সদস্যরা।
পুলিশ সূত্রে দাবি, এই কিশোর-কিশোরীদের বয়ান একে অপরের সঙ্গে তো দূরের কথা, নিজেদের আগের কথার সঙ্গেই মিলছে না। তদন্তকারীদের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের সময় অনেকে দাবি করছে, তারা ঘটনার সময় আবেশের কাছে ছিল না। কিন্তু, পর মুহূর্তে সিসিটিভি ফুটেজ দেখাতেই তাদের বয়ান বদলে যাচ্ছে।
তদন্তকারীদের বক্তব্য, সেদিন ঘটনার সময় আবেশের বন্ধুদের কার কী ভূমিকা ছিল, সেটা নিয়েই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এই ধোঁয়াশাই আবেশের পরিবারের মনে সন্দেহ আরও জোরাল করছে।
বহুতলের বেসমেন্টের যে সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে, তাতে আবেশের সঙ্গে কী ঘটেছিল,তা বোঝা যাচ্ছে না। যে ২২ সেকেন্ডের ছবি সিসিটিভিতে ধরা পড়েনি, তার একটা রেখাচিত্র খাড়া করা সম্ভব প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের ভিত্তিতেই।
কিন্তু, বয়ানে এত ধোঁয়াশা থাকলে তো গোটা প্রক্রিয়াই ভেস্তে যাবে।পুলিশের বক্তব্য, কিশোর-কিশোরীদের সকলের বয়ান যতক্ষণ না মিলছে, ততক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া চলবে।
যাঁর বাড়িতে জন্মদিনের পার্টিতে আবেশরা গিয়েছিল, সেই লেখক অমিত চৌধুরী এবং তাঁর মেয়েকেও রবিবার লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়। আগামীদিনে ফের আবেশের বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে লালবাজার সূত্রে খবর।