এইমস-এ করোনা ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়ালের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব শুরু হতে চলেছে বলে জেনেই ই-মেল পাঠিয়ে সেই ট্রায়ালের অংশ হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন চূর্ণি গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবারই এই ই-মেল পাঠান তিনি। এই বছরের মাদার্স ডে-তে চূর্ণি তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছিলেন যে সুযোগ পেলে তিনি নিজেকে করোনা ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়ালের জন্য ব্যবহার করতে দেবেন। গত ১০ মে-র ফেসবুক পোস্টে চূর্ণি লেখেন, 'এই দিনটা দেখার জন্য আমরা কেউ মা হইনি।'
নিয়ম অনুসারে করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল যার ওপর করা হবে সেই স্বেচ্ছাসেবকের অন্য কোনও কঠিন অসুখ থাকলে চলবে না। তাঁর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে। এই সবকটি তাঁর ব্যাপারে মিলে যাওয়ায় করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের জন্য স্বেচ্ছাসেবক হতে চেয়ে মেল পাঠিয়েছেন চূর্ণি।
দিল্লির এইমস-এ ভারতে তৈরি করোনার প্রতিষেধক কোভ্যাকসিন-এর মানব দেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হচ্ছে ৷ নাম নথিভুক্তিকরণ শুরু হওয়ার পর প্রথম ১০ ঘণ্টায় অন্তত ১০০০ জন রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন ৷ কোভ্যাকসিন-এর প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়ালের জন্য আইসিএমআর এইমস-সহ ১২টি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানকে বেছে নিয়েছে। এইমস-এর কমিউনিটি মেডিসিনের অধ্যাপক চিকিৎসক সঞ্জয় রায় জানিয়েছেন, যাঁদের শরীরের অন্য কোনও অসুস্থতা নেই, করোনায় আক্রান্ত হননি এবং যাঁদের বয়স ১৮ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে, তাঁদের শরীরেই পরীক্ষামূলক ভাবে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে৷
চূর্ণীর এই মহৎ কাজকে কুর্নিশ জানিয়েছে তাঁর ছেলে উজান। সে ফেসবুকে মায়ের এই খবর শেয়ার করে লিখেছে, "সব সময় আমি তোমার জন্য গর্ব অনুভব করি। তোমার প্রতি আমার ভালবাসা কখনই শেষ হওয়ার নয়। মা আমিও তোমার দেখানো পথেই চলবো।"
চূর্ণী মাদার্স ডে-র দিন তাঁর ফেসবুকে তাঁর নিজের প্রোফাইলে হালকা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে এই ভ্যাকসিনের বিভিন্ন প্রতিক্রিয়াও থাকতে পারে। সেই সমস্ত তোয়াক্কা না করেই দেশের মানুষের স্বার্থে এগিয়ে আসতে চান চূর্ণী। অপেক্ষা কেবল অনুমতি পাওয়ার।