কলকাতা: যেদিন সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে বৈঠক করতে দিল্লি রওনা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেদিনই সাত পুর-নির্বাচনে ‘গণতন্ত্র হত্যা’ হয়েছে দাবি করে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হল পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস
সোমবার, একযোগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং দলীয় সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী ও সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধীকে চিঠি লেখেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
সেখানে রবিবার রাজ্যের সাত পুর-নির্বাচনে ঘটে যাওয়া হিংসার চিত্র তুলে ধরেন। চিঠিতে অধীর দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গে ক্রমাগত ‘গণতন্ত্রের হত্যা’ করে চলেছে মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়ের প্রশাসন।
অধীর বলেন, আমি ওঁদের সামনে গতকালের হিংসার গোটা চিত্র তুলে ধরেছি। তিনি যোগ করেন, একই চিঠি তিনি গতকালই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে লিখেছিলেন।
অধীরের এই চিঠির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিশেষ করে, সময়ের দিক থেকে তো বটেই। কারণ, কংগ্রেস সভানেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এদিনই দিল্লি পৌঁছন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুই নেত্রীর মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।
শুধু তাই নয়, কেন্দ্রের উদ্দেশে অধীরের চিঠি নিয়েও তৈরি হয়েছে জল্পনা। রাজনৈতিক মহলের মতে, যেখানে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কেন্দ্রের ক্রমাগত বিরোধিতা করে চলেছে, সেখানে প্রদেশ কংগ্রেস কেন্দ্রের দ্বারস্থ হওয়ায় বিষয়টি অন্য মাত্রা পেল।
এপ্রসঙ্গে অধীরকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, দেশবাসীর জানা উচিত রাজ্যে এমন গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যেখানে মানুষ স্বচ্ছ ও অবাধ ভোটদানে অংশ নিতে পারেন না।