ABP Live Focus: স্মার্টফোনে ওয়াই-ফাই ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভয়েস কল পরিষেবার গুণমানকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে ‘এয়ারটেল ওয়াই-ফাই কলিং’ চালু করল এয়ারটেল। বর্তমানে ইন্টারনেট ভয়েস কলের গুণমান নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। সেই প্রেক্ষিতে সংস্থার দাবি, নতুন পরিষেবার ফলে, ইন্ডোর-- অর্থাৎ ঘরের মধ্যে ভয়েস কলের গুণমান অনেক অংশে বৃদ্ধি পাবে। সংস্থার দাবি, এই পরিষেবায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। যার ফলে, বাড়ি বা অফিসের মধ্যে সিগনালের মাত্রা সবসময় শক্তিশালী থাকবে। ভারতের বাজারে এই প্রযুক্তি প্রথম এনেছে এয়ারটেল-ই। সংস্থার দাবি, এই প্রযুক্তির ফলে, যে সব জায়গায় খারাপ বা কোনও নেটওয়ার্ক যোগাযোগ নেই, সেখানে অত্যন্ত সহজেই আউটগোয়িং কল করা সম্ভব হবে। এছাড়া, ‘এয়ারটেল ওয়াই-ফাই কলিং’-এর মাধ্যমে কল করতে কোনও বাড়তি খরচ হবে না ব্যবহারকারীর।  যে কোনও প্রকারের কলিং অ্যাপ (অ্যাপলিকেশন) বা সিম ব্যবহার না করেই এই পরিষেবার সুবিধে পাবেন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা। ইতিমধ্যেই এক মাসের মধ্যে ১০ লক্ষ ব্যবহারকারী ‘এয়ারটেল ওয়াই-ফাই কলিং’-এর পরিষেবা উপভোগ করছেন বলে দাবি করেছে সংস্থা। আপাতত, দেশব্যাপী এয়ারটেল গ্রাহকরাই এই পরিষেবার সুযোগ-সুবিধা নিতে পারবেন। সংস্থা জানিয়েছে, ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ককে ব্যবহার করে একটি নির্দিষ্ট ভয়েস কল চ্যানেল তৈরি করে ‘এয়ারটেল ওয়াই-ফাই কলিং’। ওই চ্যানেলের মাধ্যমে গ্রাহকরা যে কোনও নেটওয়ার্কে ফোন-কলের মতো স্বচ্ছ ও উচ্চ গুণমানের ভয়েস কল করতে পারছেন। এতে, গ্রাহকের নতুন অভিজ্ঞতা হচ্ছে। একজন অতি সহজেই ‘এয়ারটেল ওয়াই-ফাই কলিং’ ব্যবহার করতে পারেন।

সংস্থা জানিয়েছে, যখন আপনি ‘এয়ারটেল ওয়াই-ফাই কলিং’ ব্যবহার করছেন, আপনি এয়ারটেলের নেটওয়ার্ক সংযোগ ব্যবহার করছেন না। বদলে, ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ভয়েস কল করা হচ্ছে। জম্মু ও কাশ্মীর সার্কল ছাড়া দেশের সর্বত্র এই পরিষেবা চালু করেছে এয়ারটেল। দেশের সবকটি ব্রডব্যান্ডে এই পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে। ফলত, এখন আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, ‘এয়ারটেল ওয়াই-ফাই কলিং’-এর মাধ্যমে আপনি আপনার নিকটজন, বন্ধু এবং এমনকী গোটা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। ‘এয়ারটেল ওয়াই-ফাই কলিং’ হল এযারটেলে আনা একটি যুগান্তকারী প্রযুক্তি। সংস্থার আশা, চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত নতুন পরিষেবার গ্রাহক সংখ্যা ১ কোটি পার করে ফলবে। এয়ারটেলের দাবি, এই পরিষেবা ব্যবহার করা অত্যন্ত সহজ ও সরল। ১৬টি ব্র্যান্ডের ১০০টির ওপর স্মার্টফোন মডেলে এই পরিষেবা মিলছে। অ্যাপল, স্যামসাঙ, ওয়ান প্লাস, শিয়াওমি এবং ভিভো -- স্মার্টফোনে ‘এয়ারটেল ওয়াই-ফাই কলিং’-এর পরিষেবা ব্যবহারযোগ্য বলে জানিয়েছে এয়ারটেল। যদি আপনি ওয়ান প্লাস ব্যবহারকারী হন, তাহলে আপনি একমাত্র এয়ারটেলের নেটওয়ার্কে ওয়াই-ফাই কলিং চালু করতে পারবেন। রিলায়েন্স জিও সহ অন্য কোনও অপারেটরদের ক্ষেত্রে পারবেন না। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ‘এয়ারটেল ওয়াই-ফাই কলিং’ ব্যবহারযোগ্য কয়েকটি প্রথম সারির ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনের তালিকা--

Airtel Wi-Fi Calling compatible smartphones

Brand Count Models
Xiaomi 7 Redmi K20, Redmi K20 Pro, POCO F1, Redmi 7A, Redmi 7, redmi Note 7 Pro & Redmi Y3
Samsung 14 GalaxyJ6, A10s, On6, M30s, S10, S10+, S10e,M20, Note 10, Note 9, Note 10+, M30, A30s, A50S
OnePlus 6 One Plus 7, One Plus 7T, One Plus 7Pro, One Plus 7T Pro, One Plus 6, One Plus 6T
Apple 28  iPhone models starting 6s and above (including all variations of different models)
Vivo 2 V15 Pro, Y17
Techno 10 Phantom 9, Spark Go Plus, Spark Go, Spark Air, Spark 4 (KC2), Spark 4-KC2J, Camon Ace 2, Camon Ace 2X, Camon 12 Air, Spark Power
SPICE 2 Spice F311, Spice M5353
ITEL 1 A46
INFINIX 9 Hot 8, S5 Lite, S5, Note 4, Smart 2, Note 5, S4, Smart 3, Hot 7
Mobiistar 6 C1, C1 Lite, Ci Shine, C2, E1 Selfie, X1 Notch
CoolPad 5 Cool 3, Cool 5, Note 5, Mega 5C, Note 5 Lite
Gionee 2 F205 Pro, F103 Pro
Asus 2 Zen Phone Pro, Zen Pro Max
Micromax 3 Infinity N12, N11, B5
Xolo 1 XOLO ZX
Panasonic 4 P100, Eluguray 700, P95, P85 NXT
Total 102
শিয়াওমি: রেডমি কে২০, রেডমি কে২০ প্রো, পোকো এফ১, রেডমি ৭এ, রেডমি ৭, রেডমি নোট ৭ প্রো এবং রেডমি ওয়াই ৩।

স্যামসাঙ: গ্যালাক্সি জে৬, এ১০, অন৬, এম৩০, এস১০, এস১০+, এস১০ই, এম২০, নোট১০, নোট৯, নোট ১০+, এম৩০, এ৩০, এ৫০এস।

ওয়ান প্লাস: ওয়ান প্লাস ৭, ওয়ান প্লাস ৭টি, ওয়ান প্লাস ৭প্রো, ওয়ান প্লাস ৭টিপ্রো, ওয়ান প্লাস ৬, ওয়ান প্লাস ৬টি।

অ্যাপল: আই-ফোন ৬এস এবং তার ওপর সব মডেলে।

ভিভো: ভি ১৫ প্রো, ওয়াই ১৭।

টেকনো: ফ্যান্টম ৯, স্পার্ক গো প্লাস, স্পার্ক গো, স্পার্ক এয়ার, স্পার্ক ৪ (কেসি২), স্পার্ক ৪-কেসি২জে, ক্যামন এস ২, ক্যামন এস ২এক্স, ক্যমন১২ এয়ার, স্পার্ক পওয়ার।

আসুস: আসুস জেনফোন ম্যাক্স প্রো এম১ (আসুস এক্স০০টিডি), আসুস জেনফোন ম্যাক্স প্রো এম২ (আসুস জেডবি৬৩০কেএল)।

বাজারে চলতি সকল জনপ্রিয় স্মার্টফোন মডেলের সঙ্গে যাতে এই পরিষেবাকে ব্যবহার করা যায়, তার জন্য বিভিন্ন স্মার্টফোন নির্মাণকারী সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে এয়ারটেল। ‘এয়ারটেল ওয়াই-ফাই কলিং’ ব্যবহার করার জন্য কোনও অ্যাপের প্রয়োজন নেই। নিম্নলিখিত উপায়গুলি অবলম্বন করলেই আপনার স্মার্টফোনে ‘এয়ারটেল ওয়াই-ফাই কলিং’ ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে---

১. airtel.in/wifi-calling -এ গিয়ে দেখে নিন আপনার স্মার্টফোনের মডেলে এটি ব্যবহার করা যাবে কি না।

২. ডিভাইস সফটওয়্যারকে আপডেট করুন। সর্বশেষ ভার্সান ইনস্টল করুন, যাতে এই পরিষেবা ব্যবহারযোগ্য হয়।

৩. মোবাইলের সেটিংসে যান এবং ওয়াই-ফাই কলিং চালু করুন।

৪. নিরবিচ্ছিন্ন পরিষেবা পেতে ভোলটে(ভয়েস ওভার এলটিই) চালু রাখুন।

এখন ‘এয়ারটেল ওয়াই-ফাই কলিং’-এর দৌলতে কোনও গুরুত্বপূর্ণ কল আপনি মিস করবেন না।