কলকাতা: নার্সিং কোর্সই করেননি ঐত্রি দে-র দায়িত্বে থাকা নার্স, শুনানিতে স্বীকার। চাঞ্চল্যকর দাবি মৃত শিশুকন্যার পরিবারের। শুধু তাই নয়, ঐত্রির মা-বাবার দাবি, মুকুন্দপুর আমরি কর্তৃপক্ষ, স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে যে, তারা ভেন্টিলেশন চার্জ ফেরত দিতে চেয়েছে।
কমিশনকে দেওয়া চিঠিতে আমরি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভেন্টিলেশন ব্যবহারের জন্য যন্ত্র প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী, অনেক সরঞ্জাম একবার ব্যবহার করলে, তা আর দ্বিতীয়বার ব্যবহার করা যায় না। তাই চার্জ ধার্য করা হয়। যদিও ঐত্রির ক্ষেত্রে শেষ অবধি ভেন্টিলেশনের প্রয়োজন পড়েনি। তাও স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চার্জ ফেরত দিতে প্রস্তুত।
১৭ জানুয়ারি মুকুন্দপুর আমরি হাসপাতালে মৃত্যু হয় আড়াই বছরের শিশুকন্যা ঐত্রি দে-র। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়া ও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলে শিশুর পরিবার। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করে, শিশুকন্যার হৃদযন্ত্রের সমস্যা ছিল।
ঐত্রির পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য কমিশনে চলছে শুনানি। শুক্রবার শুনানিতে হাজির হন ঐত্রির মা-বাবা, মুকুন্দপুর আমরি হাসপাতালের তৎকালীন ইউনিট হেড জয়ন্তী চট্টোপাধ্যায়, ঐত্রির দায়িত্বে থাকা নার্স স্মৃতি প্রজ্ঞা প্রিয়দর্শনী। শিশুকন্যার পরিবারের দাবি, কোনও নার্সিং কোর্সই করেননি ওই নার্স।
মৃত শিশুকন্যার মা শম্পা দে বলেন, আমরি জানিয়েছিল, নার্সিংয়ের কোর্স করেছেন নার্সিং স্টাফ। কিন্ত, আমারা বলেছিলাম, ওই নার্স কোনও কোর্স করেননি। সেটা প্রমাণিত হল। এদিকে, এই ঘটনায় স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণক কমিশন জানতে চেয়েছিল, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাউকে কোনও প্রশ্ন করতে চান কি না, শিশুকন্যার মা-বাবা। মৃত শিশুকন্যার বাবা জয়ন্ত দে বলেন, সিস্টার, ওয়ার্ড বয় ও ইউনিট হেডকে প্রশ্ন করতে চাই। আবেদন হলফনামা আকারে জমা দিতে বলেছে কমিশন। যদিও গোটা বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ আমরি কর্তৃপক্ষ।