কলকাতা: আলিপুর জেল থেকে ৩ বন্দি পালানোর ঘটনায় আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল ৩ কারারক্ষীকে। এবার বদলি করা হল জেল সুপার সৌমিক সরকারকে। তাঁকে মেদিনীপুর জেলে পাঠানো হয়েছে। জেলর শিবাজি রায়কেও বদলি করা হয়েছে বাঁকুড়া জেলে। তাঁর জায়গায় আলিপুর জেলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাঁকুড়ার জেলরকে।
সাসপেন্ডেড কারারক্ষী এবং বদলি হওয়া দুই কারাকর্তা সহ চারজনের বিরুদ্ধেই বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, ডিআইজির রিপোর্টে জেলকর্তাদের গাফিলতির দিকে আঙুল তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে, নিরাপত্তা ও নজরদারির গাফিলতিতেই পালাতে পেরেছে বন্দীরা।
এরইমধ্যে এখনও খোঁজ নেই জেল পালানো ৩ বাংলাদেশি বন্দির। তারা বাংলাদেশে পালাতে পারে বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ, বসিরহাট ও মালদায় ভারতী-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় চলছে তল্লাশি। আলিপুর জেল সূত্রে খবর, গত ৩ মাসে এই ৩ বন্দির সঙ্গে কেউ দেখা করতে আসেননি। জেলের বুথ থেকে তারা কাউকে ফোনও করেনি।
তাহলে কীভাবে গরাদ কাটার জন্য হ্যাক্সো ব্লেড এল বন্দিদের কাছে? ক্যান্টিন থেকে যে মোয়া কিনে, তাতে মাদক মেশানো হয়েছিল বলে অনুমান, কেউ দেখা করতে না এলে, মোয়া কেনার টাকা পেল কীভাবে বন্দিরা? এই সব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।
তবে এই ঘটনায় বড়সড় প্রশ্নের মুখে জেলের নিরাপত্তা। সূত্রের খবর, এখন আলিপুর জেলে কারারক্ষীর সংখ্যা ২৩০ জন। যদিও থাকার কথা ৩০৭ জন। জেলের মূল ফটকের স্ক্যানার মেশিন দীর্ঘদিন খারাপ। বিকল বেশিরভাগ ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। পাঁচিলের ধারে লাগানো বাতিস্তম্ভগুলি অকেজো। এমনকী সেখানে মোতায়েন রক্ষীদের কাছে টর্চও থাকে না বলে জেল সূত্রে দাবি।
শুধু তাই নয়, জেল সূত্রে আরও খবর, এখন রাতে ৮ ঘণ্টা করে ডিউটি করেন কারারক্ষীরা। যদিও আগে নাইট শিফটে ২ ঘণ্টা অন্তর কারারক্ষীদের ডিউটি বদল হত।