কলকাতা: শিয়ালদা থেকে জঙ্গি সন্দেহে পাকড়াও আরও ১।‘ধৃত স্লিপার সেলের সক্রিয় সদস্য।৫ হাজার টাকায় বাংলাদেশিদের সীমান্ত পার করাত বলে এসটিএফ সূত্রে দাবি।

শিয়ালদা এলাকায় সারাদিনই হাজার হাজার লোকের যাতায়াত। রাস্তায় কারও দিকে কারও তাকানোর সময় নেই।ভিড়ে ঠাসা সেই এলাকা থেকে এবার আল কায়দার সহযোগী সংগঠন আনসারুল্লা বাংলার জঙ্গি সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ। জগৎ সিনেমার কাছ থেকে ধৃত এই ব্যক্তির নাম সাহাদত হোসেন।

এসটিএফ  সূত্রে দাবি, ধৃত সাহাদত হোসেন জঙ্গি গোষ্ঠীর স্লিপার সেলের সদস্য।

অর্থাৎ সাধারণ মানুষ সেজে সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশেই সে জঙ্গি কার্যকলাপ চালাত।

সাহাদতের প্রধান দায়িত্ব ছিল অবশ্য অন্য। এসটিএফ সূত্রে দাবি, তদন্ত চালিয়ে তারা জানতে পেরেছেন, ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশি জঙ্গিদের সীমান্ত পার করিয়ে ভারতে আনত সাহাদত। তারপর মিশন অনুযায়ী পৌঁছে দিত নির্দিষ্ট জায়গায়।

কলকাতা থেকে ধৃত বাংলাদেশি জঙ্গি রিয়াজুল এবং তনবীরকেও সাহাদতই সীমান্ত পার করিয়ে ভারতে ঢোকায় বলে এসটিএফ সূত্রে দাবি।

এসটিএফ  সূত্রে দাবি, বাংলাদেশে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় সাহাদতের কয়েকজন আত্মীয় থাকেন। সীমান্ত পার করার আগে কয়েকদিন জঙ্গিদের সেখানেই রাখা হত। তারপর মওকা বুঝে কাঁটাতারের বেড়া পার করে আনা হত ভারতে।

শুক্রবার আদালতে তোলা হলে ধৃত সাহাদতকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। তাকে জেরা করে জানার চেষ্টা চলছে, কতদিন ধরে সে বাংলাদেশি জঙ্গিদের সীমান্ত পার করাচ্ছে? কতজনকে এভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এনেছে? কলকাতায় এই মডিউলের সঙ্গে জড়িত আর কেউ রয়েছে কিনা?

প্রয়োজনে ধৃত জঙ্গি রিয়াজুল এবং তনবীরের সঙ্গে সাহাদতকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

অন্যদিকে, পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃত বাংলাদেশি জঙ্গি রিয়াজুল ও তনবীর কলকাতায় কোন জায়গায় কবে রেকি করেছিল, তা তারা জানতে পেরেছেন।

এখন সেসব এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখার কাজ চলছে।

প্রসঙ্গত, গত ২১ নভেম্বর কলকাতা স্টেশন থেকে রিয়াজুল, তনবির-সহ এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। সেই গ্রেফতারির তিন দিনের মধ্যেই ফের কলকাতা থেকে পাকড়াও আরও এক সন্দেহভাজন আল কায়দা জঙ্গি।