রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দফতর নবান্নে সরে গেলেও মহাকরণে আছে বেশ কিছু দফতর। সেই সব দফতরের বেশ কিছু কর্মী রাতে রয়ে গিয়েছেন মহাকরণেই।
কর্মীরা দফতরে থাকতে চাইলে, আধিকারিকদের ব্যবস্থা করতে হবে। অর্থ দফতরের তরফে নির্দেশিকা জারি হয়েছে। তাই যারা দূর-দূরান্ত আসেন, ভোগান্তির আশঙ্কা এড়াতে তাঁরা অফিসেই থেকে গিয়েছেন।
শুধু থাকা নয়, রয়েছে পেটপুজোর ব্যবস্থাও। বিকেল বিকেল বাজার করে রান্নার আয়োজন। আলু ভাজা, সরু চালের ভাত, মাংস, চাটনি। তারপর পাত পেড়ে খাওয়া। ধর্মঘটের আগের রাতে একই ছবি জলসম্পদ ভবনেও। সেখানে গিয়ে দেখা গেল, কর্মীদের অনেকেই রান্নায় ব্যস্ত। অন্তত ৬০-৭০ জন কর্মী থেকে যাচ্ছেন। একই ছবি নবান্নেও। নবান্নের বিভিন্ন দফতরে কর্মীদের অনেকেই থেকে যাচ্ছেন। রান্নার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
জেশপ বিল্ডিং বা আলিপুরের বিজি প্রেস- বিভিন্ন সরকারি অফিসেই দেখা গেল এক ছবি। বিকেলে অফিস শেষ হওয়ার পর শুরু হয়েছে রান্না। কোথাও বাজার থেকে আসছে মাছ-মাংস। কোথাও আবার মুগ ডাল-আলু ভাজা। রান্নার ফাঁকেই চলছে ক্যারাম বা তাস খেলা।
ধর্মঘট মোকাবিলায় সরকারের কড়া নির্দেশিকায় আগের রাত থেকেই প্রস্তুতি চরমে!