গতকাল ২১ জুলাইয়ের জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী দেশ থেকে বিজেপিকে হঠানোর ডাক দেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। ৯ অগাস্ট ভারত ছাড় আন্দোলনের দিন এ ব্যাপারে দেশব্যাপী প্রচার শুরু হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
জবাবে জাভড়েকর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেশের গরিব মানুষের নাড়ির যোগ। গরিবরা তাঁদের সঙ্গে আছেন। প্রতিদিন তাঁরা আরও শক্তিশালী হচ্ছেন তাই তাঁদের আরও নম্র থাকা উচিত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ রোজ রোজ বিজেপির দিকে ঝুঁকে পড়ছেন। সেই হতাশা থেকে মমতা দেশছাড়া করতে চাইছেন বিজেপিকে। কিন্তু তা দিবাস্বপ্ন ছাড়া কিছু নয়। তাঁর অভিযোগ, মমতার একমাত্র অ্যাজেন্ডা হল বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলা। সবথেকে আতঙ্কজনক হল, মমতা সমাজের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা আনছেন, সম্প্রদায়ের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা আনছেন। তা কোনওভাবে মানা সম্ভব নয়। গণতন্ত্রের মূল কথাই হল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। জাভড়েকরের বক্তব্য, কেন্দ্র চায়, আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য সকলের কাছে পৌঁছক। অথচ মমতার নীতি পশ্চিমবঙ্গে দারিদ্র্য ডেকে এনেছে।
জাভড়েকরের সমালোচনা করে পার্থ বলেছেন, বিশাল সমাবেশ দেখে যারা বলছেন তাঁরা হতাশায় ভুগছেন, হতাশার বহিপ্রকাশ হচ্ছে। আসলে মমতার মনমোহিনী শক্তি, জনপ্রিয়তা দেখে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়েছে। বিজেপির সদস্য সংখ্যা বাড়ছে? বিজেপির তো এখানে দুরবীন দিয়ে দেখার মতো। সদস্য হচ্ছে চারটে। এত কুৎসা, হিংসুটে রাজনৈতিক দল ভারতে আগে আসেনি।প্রসপারিটি হলে হাজারের উপর কৃষক মারা গেল কী ভাবে? কর্মসংস্থান কমছে কেন? গরিব আরও গরিব হচ্ছে কেন? কালো টাকা তো উদ্ধার হল না! কত টাকা উদ্ধার হয়েছে বলতে পারেলন না। এত গণ্ডগোলের চেষ্টা সত্ত্বেও মানুষ তৃণমূলমুখো, তাই হিংসা হচ্ছে।
সবমিলিয়ে একুশের তরজা বাইশেও অব্যাহত।