কলকাতা: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে চরম বলিদান দেওয়া ভারতীয় সেনাবাহিনীর শহিদদের পরিবারকে সম্মানিত করতে চলেছে বাংলাদেশ। শুক্রবার, এই কথা জানালেন বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনার তৌফিক হাসান। সংখ্যাটা চূড়ান্ত না হলেও, তিনি জানান, প্রায় ১৭-২৫ জন শহিদদের পরিবারের হাতে ওই বিশেষ সম্মান তুলে দেওয়া হবে।
প্রতিবারের মতো এবছরও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদযাপন করতে চলেছে ভারত ও বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনা ও বাংলাদেশি মুক্তিবাহিনীর জয় এবং স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের ৪৭ তম বর্ষপূর্তি বিভিন্ন উৎসবের মাধ্যমে  উদযাপন ও স্মরণ করে ভারত ও বাংলাদেশ। এবছরও তার অন্যথা হচ্ছে না।
শুক্রবার এমনটাই জানানো হল ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চলীয় সদর দফতরের তরফে। এদিন আর্মি বেঙ্গল এরিয়ার প্রধান মেজর জেনারেল জেনারেল স্টাফ (এমজিজিএস) এন ডি প্রসাদ জানান, বিজয় দিবসে অংশ নিতে ভারতে আসছে মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশি সামরিক বাহিনীর বিশাল প্রতিনিধিদল।
বিজয় দিবসের মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে স্মরণ করার জন্য এদিন ভারতীয় সেনার ভূয়সী প্রশংসা করেন তৌফিক হাসান। তিনি জানান, এবছর ৩০ মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর ৬ জন বর্তমান অফিসার সহ প্রায় ৭২ জনের প্রতিনিধিদল কলকাতায় আসছে বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে অংশ নিতে। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকবেন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মন্ত্রী মোজাম্মেল হক।
তৌফিক বলেন, গতবারের মতো এবছরও ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে চরম বলিদান দেওয়া ভারতীয় সেনার বীর শহিদদের পরিবারকে সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ প্রশাসন। ডেপুটি হাই কমিশনার জানান, ১৭-২৫ জনকে এবছর ‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সম্মান’-এ সম্মানিত করা হবে। সকলের হাতে রৌপ্য ফলক, হাসিনার বার্তার প্রতিলিপি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা ২টি বই তুলে দেওয়া হবে। তিনি জানান, গত বছর শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাক্ষাতের সময় প্রথমবার ভারতীয় শহিদদের পরিবারকে সম্মানিত করা হয়েছিল। এবছরও সেই প্রথা অব্যাহত রাখছে বাংলাদেশ।
পাশাপাশি, কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনে ১৬-১৮ ডিসেম্বর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সেখানে অন্যতম অতিথি হিসেবে থাকবেন কলকাতার নবনিযুক্ত মেয়র ফিরহাদ হাকিম।