কলকাতা: বেলেঘাটার জোড়া খুনের মামলায় এক জনকে মৃত্যুদণ্ড দিল শিয়ালদা আদালত। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে জোড়া খুন। বৌদি ও এক বছরের ভাইপোকে খুনে মৃত্যুদণ্ড এক ব্যক্তির। তাঁর স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
আলোড়ন ফেলে দেওয়া ওই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে ১২ বছর আগে। পুলিশ সূত্রে খবর, ২০০৮ এর ১৪ ডিসেম্বর বেলেঘাটার সুরেন সরকার রোডে খুন হন বুলু সাহা ও তাঁক এক বছরের শিশুপুত্র ইন্দ্রজিত্‍।
তদন্তের পর পুলিশ জানায়, লোহার রড দিয়ে মারার পর নাইলনের দড়ির ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বুলুকে। শিশুটিকেও খুন করা হয় শ্বাসরোধ করে।
খুনের দিন বুলুর বড় ছেলে, সেই সময় যার বয়স ছিল আড়াই বছর, ঠাকুমার সঙ্গে বেড়াতে বেরিয়েছিল বলে বেঁচে যায়।


পুলিশ সূত্রে খবর, এরপর বুলুর মৃতদেহ ফেলা হয় হুগলির চণ্ডীতলার কাছে হাইওয়ের পাশে। শিশুটির দেহ ফেলা হয় আরজি কর হাসপাতালের পাশের খালে।
পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের ২ দিন পর বুলুর দেওরের স্ত্রী নন্দিতাকে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা গ্রেফতার করলেও দেওর সত্য মধ্যপ্রদেশে পালিয়ে যায়। সে ধরা পড়ে ২ মাস পর।
সত্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত, তাঁর স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
পুলিশ সূত্রে খবর, সত্য ও তার স্ত্রী নন্দিতা যখন ওই ঘটনা ঘটায়, সে সময় তাদের পুত্র সন্তানের বয়স ছিল দেড় বছর। তা সত্বেও এক বছরের একটি শিশুকে হত্যা করতেও হাত কাঁপেনি।
পুলিশি তদন্তে উঠে আসে, বেলেঘাটার বাড়ি ও সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই জোড়া খুন।
কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দেয়। মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় ৪৬ জনের।