কলকাতা: নিউ টাউনের ‘বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টার’-এ মঙ্গলবার থেকে শুরু ২ দিনের ‘বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট’। এবার চার বছরে পা। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এবারের শিল্প সম্মেলন টপ অফ দ্য টপ। অতীতের সব শিল্প সম্মেলনকে ছাপিয়ে গিয়েছে। সেরা বাংলার সেরা পারফরম্যান্স। তিনি বলেন, ৬ বছরে ৮১ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে। সারা ভারতে কোথাও হয়নি। কর্মসংস্থানে বাংলা আগামী দিনে এক নম্বর হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি মানতে নারাজ বিরোধীরা। বিরোধীদের দাবি, সরকার শ্বেতপত্র প্রকাশ করে জানাক, রাজ্যের কত বিনিয়োগ এসেছে, কত চাকরি হয়েছে। কংগ্রেস ও সিপিএমের অভিযোগ, প্রতি বছরই বিশাল লগ্নি আসছে বলে দাবি করা হয়। কিন্তু, তারপর দেখা যায় পর্বতের মুষিক প্রসব। কর্মসংস্থান তো কিছু হয়নি। সব ভাওতাবাজি। এই সম্মেলন করতে গিয়ে সরকারি কোষাগার থেকে প্রচুর টাকা খরচ করা হয়। সরকারের উচিত শ্বেতপত্র প্রকাশ করে জানানো কত টাকার প্রতিশ্রুতি, কত বিনিয়োগ, কত চাকরি হয়েছে।
রাজ্য সরকারের শিল্প সম্মেলন নিয়ে কটাক্ষের সুর বিজেপির গলাতেও। পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, প্রতিবার এ ভাবে শিল্প সম্মেলন হয়। ১০ লক্ষ কোটি টাকার মউ সই হয়েছে। কিন্তু, আমার কাছে সব খবর আছে। শুধু চুক্তিই হয়েছে। কেউ লগ্নি করেনি। মাত্রা এক লক্ষ কোটি টাকা এসেছে ৫ বছরে। লোক দেখানোর জন্য এ সব হয়। মানুষের করের টাকা খরচ করছে। দাবি জানাচ্ছি, শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন মমতা।
তৃণমূল অবশ্য বিরোধীদের এ সব কটাক্ষকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পাখির চোখই হল উন্নয়ন। শিল্পকে অগ্রাধিকার দিয়েই রাজ্য সরকার কাজ করছে।
এবারের শিল্প সম্মেলনে কেন্দ্রের কোনও মন্ত্রী অংশ নেননি। অরুণ জেটলি, নিতিন গডকড়ি এবং সুরেশ প্রভু, এই তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। গডকড়ি আসবেন বলে কথাও দিয়েছিলেন। কিন্তু গত শুক্রবার বিজেপির বাইক মিছিল ঘিরে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে শিল্প সম্মেলনে আসা বাতিল করেন তিনি। আসেননি অন্য কোনও মন্ত্রীও।