কলকাতা:  মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প কন্যাশ্রীর বিশ্বজয়ের আখ্যান এবার স্কুলপাঠ্যে। সরকারের সিদ্ধান্ত, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই পড়ুয়াদের পড়ানো হবে রাষ্ট্রপুঞ্জে কন্যাশ্রীর স্বীকৃতির কথা। চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যে কন্যাশ্রীর উল্লেখ রয়েছে। সেখানেই সংযোজিত হবে স্বীকৃতির কথা।

জনপরিষেবার ক্ষেত্রে নজির গড়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের পাবলিক সার্ভিস ফোরামে জগৎ সেরার স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলা। ৬৩ টি দেশের ৫৫২টি প্রকল্পের মধ্যে প্রথম হয়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্প।

এই বিরল সম্মানই এবার আসতে চলেছে স্কুলপাঠ্যে। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে ঠাঁই পাবে কন্যাশ্রীর বিরল এই সম্মান পাওয়ার বিষয়টি।

বর্তমানে চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণিতে স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা এবং বাংলা ভাষাচর্চা বইয়ে কন্যাশ্রীর উল্লেখ রয়েছে।

অর্থাৎ এই অংশগুলিতেই এবার সংযোজিত হবে কন্যাশ্রীর এই বিশ্বজয়ের আখ্যান।

সরকারের সিদ্ধান্তে সাধুবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন মহল। যেমন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের দাবি, এত কম টাকায় এটা করা হয়েছে, বিস্ময়কর। রাষ্ট্রপুঞ্জ সঠিক প্রকল্পকেই স্বীকৃতি দিয়েছে। সিলেবাস সব বিষয়ে সচেতন করে। এটা অন্তর্ভুক্ত করাই উচিত।

সরকারের পরিকল্পনার কথা জানার পরই বুধবার বৈঠক ডেকেছে সিলেবাস কমিটি। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত হবে রাষ্ট্রপুঞ্জের পাবলিক সার্ভিস ফোরামের তরফে এই স্বীকৃতি প্রাপ্তির কথা।

মেয়েরা যাতে অন্তত ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে, এবং বাল্যবিবাহ বন্ধ করা যায়, সেই লক্ষ্যে ২০১৩ সালে কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করে রাজ্য সরকার৷

এই প্রকল্পের মধ্যে ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী অবিবাহিত মেয়েদের অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি বছর ৭০০ টাকা বৃত্তি এবং ১৮ বছর পূর্ণ হলে এককালীন ২৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়। বর্তমানে কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ৩৯ লক্ষ পড়ুয়া।