কলকাতা: খুলেছে অফিস, দোকান, কারখানা। অধিকাংশ জায়গায় চালু হয়েছে নিয়মিত হাজিরাও। কেবল বন্ধ রয়েছে লোকাল ট্রেন। তাই বাধ্য হয়েই বেছে নিতে হচ্ছে বাস বা অটো। ভীড় বাসে মানা সম্ভব হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।লোকাল ট্রেন চালুর দাবি জানিয়ে রেলমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত।


চিঠিতে সাংসদ লেখেন, ‘লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় সমস্যায় সাধারণ মানুষ। বেশি ভাড়া দিয়ে ভিড় বাসে চাপতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। যত দ্রুত সম্ভব, দুর্গাপুজোর আগেই বাংলায় লোকাল ট্রেন চালু হোক।'

নিউ নর্ম্যালে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে মানুষের জীবনযাত্রা। ধীরে ধীরে চালু হচ্ছে যানবাহন, মেট্রো, প্রেক্ষাগৃহ, হোটেল। সংক্রমণের থেকে যথাসম্ভব সুরক্ষা নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাইছে মানুষ। কিন্তু লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় ব্যহত হচ্ছে বহু মানুষের জীবনযাত্রা। জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে বাসে চড়ছেন অনেকেই। প্রথমদিকে কিছুটা নিয়মবিধি মেনে চললেও এখন বেশিরভাগ বাসেই বাদুরঝোলা ভীড়। সংক্রমণ রুখতে গিয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিচ্ছে কিনা এই প্রশ্নও উঠেছে।

প্রসঙ্গত, দিনে খুব সামান্য পরিমান স্পেশাল ট্রেন ও দূরপাল্লার ট্রেন চলছে। কিন্তু যা সাধারণ যাত্রীদের জন্য নয়। কেবলমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার সঙ্গে যুক্তরাই সেই ট্রেন চড়ার অনুমতি পাচ্ছেন। প্রসঙ্গত, বর্তমানে কেবলমাত্র রেলকর্মীদের জন্য হাতে গোনা কয়েকটি স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চলছে। কিন্তু অফিস-কাছারি খুলে যাওয়ায় গন্তব্যে পৌঁছতে ভোগান্তির শেষ নেই আমজনতার। এই পরিস্থিতিতে কোথাও শুরু হয়েছে অবরোধ।  আজ লিলুয়া স্টেশনে স্পেশাল ট্রেনে পুলিশ চেকিং হতেই শুধু হয় যাত্রী বিক্ষোভ। স্টেশন মাস্টারের ঘর, ফুলের টব ভাঙচুর করে যাত্রীরা। লোকাল ট্রেন চালানোর দাবি নিয়ে একাধিক জায়গায় বিক্ষিপ্ত প্রতিবাদ হয়।

প্রায় সব ইস্যুতেই তৃণমূল-বিজেপির চাপানউতোর তুঙ্গে উঠলেও, লোকাল ট্রেন চালুর বিষয়ে দু’ই দলের গলায় একই সুর।দমদমের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় বলছেন, 'মানুষের অসুবিধা তো হচ্ছেই। কেন্দ্র-রাজ্য আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে সক্রমণ দেখতে হবে। রেল কেন্দ্রের সম্পত্তি। তারা রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করুক।' অন্যদিকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলাতেও কার্যত একই সুর। বললেন, 'রাজ্য কেন্দ্র আলোচনা করে চালানো দরকার। যাত্রীদের অসুবিধা হচ্ছে।'

আজ সেই সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা তুলে ধরে রেলমন্ত্রীকে চিঠি পাঠান বিজেপি সাংসদ। রাজ্যে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ লোকাল ট্রেনে ওঠেন। সেক্ষেত্রে কোভিড নিয়ম মেনে লোকাল ট্রেন চালু করাটাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ রেলের কাছে।