কলকাতা: যাকে বলে, কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! ছিনতাইয়ের তদন্তে নেমে হদিশ বোমা কারখানার! ঘটনাস্থল, খিদিরপুরের ১০ নম্বর মনসাতলা রো।
এই এলাকার একটি বাড়ি থেকেই সোমবার সকালে তাজা বোমা, বোমা তৈরির মশলা, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাইল ফোনের চিপ ও সার্কিট উদ্ধার করে ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিশ।
কীভাবে এই বাড়ির হদিশ মিলল? পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাতে তারাতলায় এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আট লক্ষ টাকা ছিনতাই করে কয়েকজন দুষ্কৃতী। ছিনতাইয়ের সময় একটি বাইক ফেলে যায় তারা। বাইকের নম্বর প্লেটের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে তারাতলা থানার পুলিশ।




গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ হালিম, খুরশিদ আলম ওরফে রাজ, মহম্মদ আজগর ও শামিন খান ওরফে চিকনা নামে ৪ দুষ্কৃতীকে।
পুলিশের দাবি, ধৃতরা জানায়, ছিনতাইয়ের মূল চক্রী খিদিরপুরের ব্যারিস্টার লেনের বাসিন্দা বালু নামে এক দুষ্কৃতী। বালুর খোঁজ করতে গিয়েই বালুর ভাই সোনুর কাছে মনসাতলার বাড়িটির খোঁজ মেলে।
ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে রাতেই এই বাড়িতে অভিযান চালায় তারাতলা থানার পুলিশ। উদ্ধার হয় তাজা বোমা, বোমা তৈরির মশলা, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাইল ফোনের চিপ ও সার্কিট। গ্রেফতার করা হয় সোনুকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মাস দেড়েক আগে ভাড়া নেওয়া বাড়িটিতে থাকত সোনু ও তার সঙ্গীরা। রাতে আসা যাওয়া করত আরও অনেকে। ঘরের দরজা সব সময় বন্ধ থাকত। প্রতিবেশীদের দাবি, ভূতের ভয় দেখানো হত তাঁদের।



তাহলে কি কিছু গোপন করার চেষ্টা করত দুষ্কতীরা? ঘরের মধ্যে কোথা থেকে এল মোবাইল ফোনের সার্কিট, চিপ ও রিমোট কন্ট্রোল?  উদ্দেশ্য কি নাশকতা? দানা বাঁধে সন্দেহ। পরে পুলিশ জানায়, নাশকতা নয়, ডাকাতির উদ্দেশেই বোমা তৈরি হচ্ছিল। হত মোবাইল ফোন মেরামতি।
এরই মধ্যে এদিন দুপুরে ওয়াটগঞ্জ থানায় আসে এনআইএ-র প্রতিনিধিরা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ধৃতদের।
সোনুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সিল করে দেওয়া হয়েছে বাড়িটি।