আগামী ২৮, ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি রাজ্যে বাস ও মিনিবাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে একাধিক বাস মালিকসংগঠন। জ্বালানির উপর জিএসটি বসানো, বাস ভাড়া বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবিতে এই ধর্মঘটের ডাক। এর মধ্যে আজও অধরা রইল রফাসূত্র। ৭২ ঘণ্টা বাস ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে অনড় মালিকরা।
আজ কলকাতায় পেট্রোলের দাম ৮৭ টাকা ১১ পয়সা প্রতি লিটার। অন্যদিকে, একদিনে ৩৬ পয়সা বেড়ে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম হয়েছে ৭৯ টাকা ৮৪ পয়সা।
বাস মালিকদের মতে, পেট্রোল-ডিজেলে জিএসটি বসানো হলে অনেকটাই দাম কমবে। এই পরিস্থিতিতে জ্বালানি তেলে জিএসটি বসানোর দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা।
এর আগে পরিবহণ দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে চিঠি দেয় বাস মালিকদের ৫টি সংগঠন। রবিবার বাস মালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসে সরকার। বৈঠকে ছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিবহণ সচিব ও পরিবহণ দফতরের অন্যান্য আধিকারিকরা।
জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আজ রফাসূত্র মেলেনি। কয়েকটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আশা করছি প্রস্তাব বিবেচনা করে কয়েকদিনের মধ্যেই ফের বৈঠক হতে পারে।’
যদিও এদিনের বৈঠক নিয়ে সরকারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের বেড়ে চলা দামে মধ্যমিত্তর মাথায় হাত। তার ওপর লাগাতার বেড়ে চলেছে জ্বালানি তেলের দাম। যার ফলে জিনিসপত্রের দাম ফের বাড়ার আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে ৭২ ঘণ্টা বাস ধর্মঘট হলে দুর্ভোগ যে কোন পর্যায়ে যাবে, তা ভেবেই আশঙ্কিত সাধারণ মানুষ!
২০১৪ সালের মে মাসে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার আগে প্রতি লিটার পেট্রোল ও ডিজেলের উৎপাদন শুল্ক ছিল যথাক্রমে ৯.২০ টাকা এবং ৩.৪৬ টাকা। গত সাড়ে ৬ বছরে সেই শুল্ক যথাক্রমে আরও ২৩.৭৮ টাকা ও ২৮.৩৭ টাকা বেড়েছে। মোদি সরকারের এই জমানায় পেট্রোলে কর বেড়েছে প্রায় ২৫০ শতাংশ এবং ডিজেলে প্রায় ৮০০ শতাংশ। দেশের প্রায় সব পণ্যই জিএসটি-র আওতাভুক্ত হলেও, পেট্রোপণ্য নয়। বাস মালিকদের মতে, পেট্রোল, ডিজেল জিএসটি-র আওতায় এলে অনেকটাই দাম কমবে।
ভাড়াবৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেওয়ার আগেই কিছু কিছু রুটে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, ৭ টাকার ভাড়া ১০ টাকা নিচ্ছে, ৮ টাকার ১২ টাকা নিচ্ছে।