কলকাতা: সাংসদ মেলার অনুমতি না দেওয়ায় হাইকোর্টে ভর্ৎসিত হতে হয়েছে আসানসোল পুর কর্তৃপক্ষকে। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে এবার ব্রিগেডে আরএসএসের অনুষ্ঠান নিয়ে হাইকোর্টের ক্ষোভের মুখে খোদ কলকাতার পুলিশ কমিশনার!


শনিবার মকরসংক্রান্তি উপলক্ষে শহরে স্বরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের সভা করার কর্মসূচি নেয় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। প্রথমে খিদিরপুরের ভূকৈলাস ময়দানে কর্মসূচির জন্য অনুমতি চায় তারা। তা খারিজ করে দেয় পুলিশ। এরপর ব্রিগেডে কর্মসূচির জন্য আবেদন জানালে সেনার অনুমতি মিললেও, পুলিশ ছাড়পত্র দিতে চায়নি। ফলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় আরএসএস। কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় আদালত।

যদিও কমিশনারের বদলে জয়েন্ট কমিশনার আরএসএসের আবেদন খারিজ করে দেন। কিন্তু, কমিশনারের বদলে জয়েন্ট কমিশনার কেন? এ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার। তাঁর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করল আদালত। একই সঙ্গে কমিশনারকে শোকজ করা হচ্ছে। কেন আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে, ২ সপ্তাহের মধ্যে উত্তর দিতে হবে।

শুনানিতে সরকারি আইনজীবী বলেন, গঙ্গাসাগর মেলার জন্য পুলিশ কর্মীর অভাব রয়েছে। আরএসএসের অনুষ্ঠানে এত পুলিশ দেওয়া অসুবিধেজনক।

পাল্টা বিচারপতির প্রশ্ন, পুজোতেও তো একাধিক জায়গায় প্রচুর জনসমাগম হয়। সেক্ষেত্রে কীভাবে সামলান?

কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি সরকারি আইনজীবী।

সবপক্ষের বক্তব্য শুনে হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, শনিবার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডেই আরএসএসের কর্মসূচি হবে। সর্বাধিক ৪ হাজার লোক অংশগ্রহণ করতে পারবেন। শুধুমাত্র আমন্ত্রিতরাই থাকতে পারবেন। শনিবার বেলা ১২টার মধ্যে পুলিশের কাছে আমন্ত্রিতদের নাম-ঠিকানা সহ তালিকা জমা দিতে হবে। আমন্ত্রিত নন, এমন কারও জমায়েত চলবে না। সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হলে তার দায় থাকবে আরএসএসের। এ বিষয়ে আয়োজকদের হলফনামাও জমা দিতে হবে।

আরএসএস জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশ অনুসারেই তারা জমায়েত করবে। রাজ্য প্রশাসনকেও তুলোধোনা করেছে তারা।