কলকাতা: ভুঁড়িধারী পুলিশের বিড়ম্বনা বাড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলার শুনানিতেই পুলিশের ভুঁড়ি নিয়ে ফের অসন্তোষ প্রকাশ আদালতের।


ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে ও তাপস মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এদিন মামলার শুনানি হয়। সরকারি আইনজীবীর উদ্দেশে ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলা। মোটেই হাল্কাভাবে নেবেন না। পুলিশকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে হয়। কিন্তু তাঁদের শারীরিক সক্ষমতার বহর যদি এই হয় তা হলে খুব মুশকিল। বছরে একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলেই হবে না। আপনারা নিয়মিত পুলিশকর্মীদের বডি মাস ইনডেক্স মেপে দেখেন?

সরকারি আইনজীবী কোনও উত্তর দেওয়ার আগেই, মামলাকারীর জমা দেওয়া কয়েকটি ছবি দেখে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, পুলিশের এই অবস্থা! এরকম হলে কী করে চলবে? সরকারি আইনজীবী বলেন, ৪৬ বছর বয়স হয়ে গেলে বেশিরভাগ পুলিশকর্মীকে আর বাইরে ডিউটি করতে হয় না। অফিসে বসে কাজ করতে হয়। ফলে, শারীরিক সক্ষমতা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ওই পুলিশকর্মীদের ক্ষেত্রে শারীরিক সক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ নয়? কী বলছেন?

সম্প্রতি পুলিশের অতিরিক্ত ভুঁড়ি ও শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন কমল দে নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলার প্রেক্ষিতে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজ্য পুলিশের ডিজি, স্বরাষ্ট্রসচিব ও কলকাতা পুলিশের কমিশনারের হলফনামা তলব করে আদালত। পুলিশ কমিশনারের হলফনামা জমা পড়লেও এখনও বাকিদের হলফনামা জমা পড়েনি। ডিজি ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে হলফনামা দেওয়ার জন্য আরও ২ সপ্তাহ সময় দিয়েছে আদালত।