কলকাতা: প্রথমে তাপস পাল। ক’দিনের ব্যবধানে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। রোজভ্যালিকাণ্ডে পরপর দুই দলীয় সাংসদের গ্রেফতারির প্রতিবাদে দলকে পথে নামিয়েছেন। সোমবার ফের মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, কেন্দ্র প্রতিবাদ করলেই ষড়যন্ত্র করছে। সিবিআইকে তো ‘কনস্পিরেসি ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন’ করে তুলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। নোট বাতিলের ফলে দেশের মানুষকে সার্বিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে আর্জিও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

মোদী সরকারের বিরুদ্ধে স্বৈরতন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন মমতা। তিনি বলেছেন, ‘আমি ২৩ বছর সাংসদ ছিলাম। অনেক সরকারই দেখেছি। কিন্তু এ ধরনের সরকার আগে কখনও দেখিনি, যে সরকার প্রতিবাদ করলেই যড়যন্ত্র করে। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭৫-র জরুরি অবস্থায় চেয়েও খারাপ’।

একইসঙ্গে মমতা বলেন, কেন্দ্র যতই ষড়যন্ত্র করুক, তাঁরা এর পরোয়া করেন না। তিনি বলেছেন, ‘মোদীবাবু আমাদের সবাইকে জেলে নিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু আমাদের মানুষের হয়ে কথা বলা কেউ আটকাতে পারবে না’।

বর্ধমানে মাটি উত্সবের সূচনা করতে গিয়ে মমতা আরও বলেছেন, ‘আমাদেরকে ওড়িশা, দিল্লি বা উত্তরপ্রদেশ, যেখানেই নিয়ে যাওয়া হোক না কেন, এতে কিছুই হবে না। প্রত্যেকটা জায়গাই আমাদের দেশ। কিন্তু মানুষ যখন প্রতিক্রিয়া জানাবেন, তখন কোথায় যাবেন, মোদীবাবু?’

মমতা আরও বলেছেন, ‘বিজেপির কয়েকজন ছোটাখাটো নেতা এখন বড়বড় কথা বলছেন। এই লোকেরা আমেরিকা,লন্ডন, সুইতজারল্যান্ডে পালিয়ে যাবেন। কিন্তু আমরা এখানেই রয়ে যাব’।

মমতা দাবি করেছেন, নোট বাতিলের ফলে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে। এর ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে। এই অবস্থায় রাষ্ট্রপতির কাছে দেশকে বাঁচাতে হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। মমতা বলেছেন, কোনও সরকার একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে যদি দেশকে বিপর্যয়ের মুখে নিয়ে যায়, তাহলে দেশের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রক্ষাকর্তার ভূমিকা নেওয়ার জন্য তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানাচ্ছেন।

একইসঙ্গে সাধারণ মানুষের কাছে প্রতিবাদে মুখর হওয়ারও আর্জি জানিয়েছেন তিনি। মমতা বলেছেন, প্রতিবাদ করলে কষ্ট সহ্য করতে হবে। কিন্তু কাউকে না কাউকে ‘বিড়ালের গলায় ঘন্টা’ বাঁধার কাজটা করতে হবে। যা কিছুই ঘটুক না কেন এই কাজের দায়িত্ব তৃণমূলই নিচ্ছে।

এর আগে একের পর এক ট্যুইটে তৃণমূল নেত্রী অবিলম্বে নোটের উপর থেকে যাবতীয় নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহারের দাবি জানান। তিনি বলেন, নোট বাতিলকাণ্ডে দেশজোড়া আন্দোলন গড়ে তুলবে তৃণমূল কংগ্রেস।

তৃণমূল নেত্রীর ট্যুইট, সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, ওড়িশা, বিহারে ধর্না অবস্থান চলবে। ধর্না হবে পঞ্জাব, মণিপুর, ত্রিপুরা, অসম, ঝাড়খণ্ডেও।

Dharna being held over next 3 days(Mon,Tue,Wed) in Bengal, Bhubaneswar, Punjab, Kishanganj(Bihar), Manipur, Tripura, Assam, J'khand & Delhi.