কলকাতা: বুধবার থেকে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। দ্বিতীয় দিনেই বিদ্যুৎ বিপর্যয়। ঘটনার পিছনে অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা রাজ্য সরকারের।

হঠাত্‍ কেন এই পরিস্থিতি?

এনিয়ে দুপুরে নবান্নে জরুরি বৈঠক ডাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুর দেড়টায় নবান্নের বৈঠকে যোগ দেন বিদ্যুত্‍মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, বিদ্যুত্‍ সচিব সুরেশ কিশোর। রাজ্য বিদ্যুত্‍ বণ্টন সংস্থার চেয়ারম্যান শান্তনু বসু ও সিইএসসি-র এমডি অনিরুদ্ধ বসু।

এর আগে সল্টলেকে বিদ্যুত্‍ দফতরে বৈঠক করেন বিদ্যুত্‍মন্ত্রী। নবান্নের বৈঠকে তার রিপোর্ট দেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

নবান্ন সূত্রে খবর, ঘটনার নেপথ্যে অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে চান, মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় কেন এমন হল?

সিইএসসি কর্তা বলেন, বজবজ, টিটাগড় ও মেটিয়াবুরুজের মধ্যে এদিন সকালে বজবজ ইউনিট ট্রিপ করে যায়। ফলে বাকিগুলিও বিকল হয়ে পড়ে। ঘাটতি দাঁড়ায় ৭০০ মেগাওয়াট।

বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় যেন বিদ্যুৎ ঘাটতি না হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫৩-য় শহরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ব্যাহত হয় সিইএসসি-র পরিষেবা।

অন্ধকার হয়ে যায় উত্তর ও মধ্য কলকাতার বেশ কিছু অংশ। বন্ধ হয়ে যায় মেট্রো রেল। অন্ধকার পাতালে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা।

মেট্রো সূত্রে খবর, সিইএসসি-র বজবজ ইউনিট থেকে মেট্রোর নোয়াপাড়া, শ্যামবাজার, সেন্ট্রাল, ও যতীন দাস পার্ক-- এই চারটি সাব স্টেশনে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়। এই চারটি সাব স্টেশনই এদিন একসঙ্গে বসে যায়। তার ফলেই বিপত্তি।

অন্ধকার নেমে আসে শহরের কয়েকটি হাসপাতালেও।

নবান্নের বৈঠকের পর বিদ্যুত্‍মন্ত্রী বলেন,

পরিস্থিতি সামাল দিতে পুরুলিয়া ও হলদিয়া থেকে বিদ্যুত্‍ নেওয়া হচ্ছে। যতক্ষণ না সিইএসসি স্বাভাবিক হচ্ছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাই পরিস্থিতি সামাল দেবে।

নবান্ন সূত্রে খবর, ঘটনার পিছনে কোনও অন্তর্ঘাত আছে কিনা, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।