কলকাতা: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অভিনেতা তথা প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তাপস পালের মৃত্যু। মঙ্গলবার মু্ম্বইয়ের এক হাসাপাতাল থেকে সেই খবর আসতেই মন খারাপ টলিপাড়ার। শোকের পরিবেশ তৃণমূলেও। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাসের মতো প্রথম সারির নেতারা সহকর্মীর মৃত্যুতে কার্যত বাক্যহারা। বুধবার তাপস পালকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসে শোকবিহ্ববল হয়ে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তাপসের অকালপ্রয়াণের জন্য নাম না করে দায়ী করলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও কেন্দ্র সরকারকে।





এই প্রসঙ্গে উলুবেড়িয়ার প্রাক্তন সাংসদ সুলতান আহমেদ এবং হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীর মৃত্যুর কথাও তুলে আনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রবীন্দ্রসদনে তাপস পালকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “একটা চিঠি আর ফোন পেয়ে বাথরুমে গেল, স্ট্রোক হয়ে মারা গেল সুলতান। ওর বয়স কত ছিল! অর্জুন পুরস্কার জয়ী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী মারা গেল। সহ্য করতে পারল না। এবার তাপসও ফুরিয়ে গেল।”


এদিন মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, তাপস পালের মতো প্রথম সারির অভিনেতাকে এক বছর এক মাস এভাবে জেল বন্দি রাখার যৌক্তিকতা কী? তাপস পাল একটি বিনোদনমূলক চ্যানেলের ডিরেক্টর ছিল, তাই একবছর এক মাস জেলে রেখে দেওয়া হল। চলচ্চিত্র প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতাকে জেলবন্দি করা নিয়েও প্রশ্ন করতে শোনা যায় তাঁকে।


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মৃত্যুর আগে জানতেও পারল না, ওর অপরাধ কী! অসময়ে মৃত্যু। চলচ্চিত্র জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। শিল্পীরা অনেক প্রোডাকশন হাউসে কাজ করেন, চ্যানেলে কাজ করেন, ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে কাজ করেন। কিন্তু তারজন্য তাঁদের এভাবে লাঞ্ছনা, গঞ্জনার শিকার হতে হবে! কেন্দ্রের সরকার জঘন্য প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করছে। কেউ রেহাই পেলেন না। অপরাধ করে থাকলে বিচার করে শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু জেলে বন্দি করে রাখার কৌশল কী, জানি না।”



তাপস পালের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “তাপসের মুখের দিকে তাকাতে পারিনি। সুলতানের মরদেহও  আমি দেখিনি। ‘দাদার কীর্তি’ ওর অমর কীর্তি হয়ে থাকবে। তাপসের স্ত্রী নন্দিনী, মেয়ে সোহিনীর প্রতি আমার সমবেদনা।”