কলকাতা: গণ্ডগোলের আশঙ্কায় পিছোল রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রভোট। ভোট হবে পয়লা নভেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে। উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকের পর ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর। সেক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের থেকে প্রায় একবছর পিছিয়ে গেল ছাত্রভোট।

সাধারণত রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয় ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে। গত বছর অক্টোবরের শেষে সেই ছাত্রভোট পিছিয়ে যায় ছ’মাস। কথা ছিল, এবার কলেজগুলিতে ভর্তিপর্ব মিটলে, ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে। তারপরেও ফের পিছোল ছাত্রভোট। সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা, নভেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে হবে ছাত্র সংসদ নির্বাচন।

ফলে প্রায় একবছর পিছোল ছাত্রভোট। কিন্তু, কেন এই সিদ্ধান্ত? শিক্ষামন্ত্রী এজন্য গণ্ডগোলের আশঙ্কাকেই ইঙ্গিত করেছেন।

উচ্চশিক্ষা সংসদের বৈঠকে এদিন আরও একাধিক সিদ্ধান্ত হয়। সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে রাজ্যজুড়ে অভিন্ন সিলেবাস। সেজন্য তৈরি হচ্ছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। শিক্ষকদের নিয়মিত ক্লাস নেওয়া ও ছাত্রদের ক্লাসে থাকার ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়। একাধিক কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে পড়ুয়াকে টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু রাখা এবং ক্যাম্পাসে যৌন হেনস্থা নিয়ে সতর্ক থাকা-সহ একাধিক বিষয়ে, উপাচার্যদের পরামর্শ দেন শিক্ষামন্ত্রী।

পাশাপাশি, নির্বিঘ্ন ছাত্রভোট করাতে, জেলাভিত্তিক ছাত্রভোটের সিদ্ধান্তও হয়। তবে ভর্তিপর্বের মতো ছাত্রভোটের মনোনয়নপত্র দাখিল অনলাইনে কি না, সে ব্যপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার ছাড়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে।

প্রশ্ন উঠছে, সরকারের এই বাড়তি সতর্কতা কেন?

শিক্ষা মহলের একাংশের বক্তব্য, রাজ্যের ৯০ শতাংশের বেশি ছাত্র সংসদ শাসক দলের দখলে হলেও ভোটকে ঘিরে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে ক্যাম্পাস। ছাত্র থেকে পুলিশের মৃত্যু, ক্যাম্পাসের দখলদারি ঘিরে রক্ত ঝড়েছে বারবার। তৃণমূল সরকারের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে সেই বিড়ম্বনা এড়াতেই কি ছাত্রভোট নিয়ে সরকারের ধীরে চলো নীতি? প্রশ্ন শিক্ষামহলে।