গড়িয়া:  গড়িয়ায় বাড়ি থেকে উদ্ধার কমার্শিয়াল ট্যাক্সের জয়েন্ট কমিশনারের ঝুলন্ত দেহ। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালাতেন স্ত্রী। দাবি পরিবারের। অভিযোগ অস্বীকার স্ত্রী-র।
স্ত্রী চন্দনা রায় ও ১১ বছরের ছেলেকে নিয়ে সোনারপুর থানার গড়িয়া এলাকায় থাকতেন কমার্শিয়াল ট্যাক্সের জয়েন্ট কমিশনার, বছর বাহান্নর সুকৃতিকুমার রায়। অসুস্থ হয়ে পড়ায় কয়েকদিন অফিস না গিয়ে বাড়িতেই ছিলেন।
স্ত্রী-র দাবি, বুধবার বিকেলে ছেলেকে স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিলেন তিনি। ফিরে দেখেন, স্বামীর কোনও খোঁজ নেই। ছাদে গিয়ে দেখা যায়, চিলেকোঠার ঘর ভিতর থেকে বন্ধ।
পরিবারের সদস্যদের খবর দেন স্ত্রী। তাঁরা এসে দরজা ভেঙে দেখেন, জানালা থেকে ঝুলছে সুকৃতিকুমারের দেহ! পরিবারের দাবি, একাধিক পুরুষের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন স্ত্রী। মৃতের ভাই পৃথ্বীশ রায় দাবি করেন, বিভিন্ন লোকের সঙ্গে বউদির সম্পর্ক ছিল।
স্বামীর ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালাতেন। ঠিকঠাক খেতেও দিতেন না। এমনকী সপ্তাহখানেক আগে, সুকৃতিকুমার রায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলেও দাবি পরিজনদের। মৃতের বাবা সুবোধচন্দ্র রায় বলেন, বউ অত্যাচার করত, পরিকল্পনা করে হয়েছে।
প্রতিবেশীদেরও দাবি, দম্পতির মধ্যে প্রায়ই অশান্তি হত। যদিও যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে, পরিবারের সদস্যদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন স্ত্রী। প্রথমপক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর, ১২ বছর আগে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছিলেন কমার্শিয়াল ট্যাক্সের জয়েন্ট কমিশনার, সুকৃতিকুমার রায়। তাঁর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় সেই স্ত্রী-র দিকেই অভিযোগের আঙুল পরিজনদের। স্ত্রী-র ভূমিকা খতিয়ে দেখছে সোনারপুর থানার পুলিশ।