কলকাতা: শীতের মুখে অগ্নিমূল্য বাজার। প্রায় সব সব্জির দামই আকাশছোঁয়া। মাথায় হাত মধ্যবিত্তের। কলকাতার বিভিন্ন বাজারে সব্জিতে হাত দিলে ছ্যাঁকা লাগার জোগাড়!




  • ৪০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে পটল।

  • ঢ্যাঁড়শ ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি।

  • বেগুনেরও একই দর।

  • ৬০ থেকে ৮০টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে বিনস-গাজর।

  • কড়াই শুটি ৮০ থেকে ১০০টাকা কেজি।

  • ৬০ থেকে ৮০টাকা কেজি শিম।

  • ফুলকপি ২০ থেকে ৩০টাকা পিস।


চড়া পাইকারি বাজারদরও। কোলে মার্কেটে গিয়ে দেখা গেল--




  • যেখানে খুচরো বাজারে পটল ৪০ থেকে ৭০ টাকা কেজি, সেখানে পাইকারি বাজারে এক পাল্লা অর্থাৎ ৫ কেজি পটলের দর ১৮০ থেকে ২৫০টাকা।

  • খুচরো বাজারে ঢ্যাঁড়শ ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। কিন্তু পাইকারি বাজারে ১৮০ থেকে ২২০টাকা দর ৫ কেজি ঢ্যাঁড়শের।

  • খুচরো বাজারে বেগুনের দর ৪০-৫০ টাকা কেজি। সেখানে পাইকারি বাজারে ৫ কেজি বেগুন ১৫০ থেকে ২২০ টাকায় বিকোচ্ছে।

  • খুচরো বাজারে ৬০ থেকে ৮০টাকা কেজি শিম। পাইকারি বাজারে ৫ কেজি শিমের দর ১৫০ থেকে ২০০টাকা।

  • ফুলকপি ২০ থেকে ৩০টাকা পিস খুচরো বাজারে। আর পাইকারি বাজারে ১২ থেকে ১৫টাকা পিস বিকোচ্ছে ফুলকপি।


শুধু সব্জি নয়, পাল্লা দিয়ে চড়েছে পেঁয়াজ, ডিম সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যেরও। কলকাতার বিভিন্ন বাজারে ৫০ থেকে ৭০টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে পেঁয়াজ। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, অনেক রেস্তোরাঁই স্যালাডে পেঁয়াজ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে!  দাম বেড়েছে ডিমেরও। মুরগির ডিমের দাম সাড়ে ৪টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬ টাকা। হাঁসের ডিম ৭টাকা থেকে বেড়ে ১০টাকা।


সব্জিতে ছ্যাঁকা, কাঁদাচ্ছে পেঁয়াজও। ডিমও দামি সবমিলিয়ে মধ্যবিত্তের হেঁশেলে আগুন। কেন এতটা চড়া বাজারদর? বিক্রেতাদের দাবি, জোগান কম। তার ওপর বৃষ্টি হওয়ায় এই সমস্যা। অন্যদিকে, এই পরিস্থিতির দায় ফড়েদের ওপরই চাপাচ্ছেন কৃষকদের একটা বড় অংশ। তাঁদের দাবি, ফসলের ন্যায্য দাম মিলছে না। তার ওপর ফড়েদের দাপট। কৃষকদের অভিযোগ, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্যই এই অবস্থা। উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্রই এক ছবি।
কৃষকরা বলছেন, সব্জি বিক্রি করে তেমন লাভ হচ্ছে না। অথচ সেই সব্জিই খুচরো বাজারে আগুন-দরে বিকোচ্ছে। কৃষকরা বলছেন, দাম পাচ্ছেন না, বিক্রেতারা বলছেন, জোগান কম। আর এর মাঝে পড়ে চড়া বাজার দরে নাভিশ্বাস মধ্যবিত্তের। কিন্ত কবে কমবে দাম? সেদিকেই তাকিয়ে মধ্যবিত্ত ক্রেতারা।