কলকাতা: কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেধে ভোটে লড়া নিয়ে পর্যালোচনায় বসছে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি। তার আগে, অধীর চৌধুরীর গলায় সতর্কবার্তা, প্রদেশ কংগ্রেসের যেন বামকরণ না হয়।
শুক্রবার, বাজেট অধিবেশন শুরুর আগে বিধানসভাতে প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক করে কংগ্রেসের পরিষদীয় দল। সেখানেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বার্তা, একসঙ্গে আন্দোলন করতে হবে। জোট বেঁধে আন্দোলন করতে হবে। কক্ষ সমন্বয় করতে হবে। কিন্তু দেখতে হবে কংগ্রেসের যেন বামকরণ না হয়। কংগ্রেসের স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখেই এগোতে হবে।
প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি যে দিন এমন বার্তা দিলেন, সে দিনই কংগ্রেস ও বামেরা পৃথক সাংবাদিক বৈঠকও করলেন। সম্প্রতি, একাধিকবার আব্দুল মান্নান ও সুজন চক্রবর্তীকে একসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে। কিন্তু, এ দিন একসঙ্গে নয়, আলাদা আলাদা। বামেদের গলাতেও জোটবদ্ধ হয়ে এগোলেও স্বাতন্ত্র্য বজার রাখার বার্তা। বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, আজ একসঙ্গে করছি না। কাল আবার করব। ফ্লোর কোঅর্ডিনেশন হবে।
বিধানসভা ভোটে হারার পরেও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে সিপিএমের বঙ্গ নেতৃত্ব। যদিও বামফ্রন্টের শরিক দলগুলির একাংশ এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। চাপের মুখে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যানও এমন কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন, যেখানে কংগ্রেসকে আহ্বান জানানো হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে, তা হলে কি জোট নিয়ে আপাতত নয়া কৌশলেরই ইঙ্গিত দিলেন অধীর-সুজনরা? যদিও, পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, দুই শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব ভালই বুঝতে পারছে, জোট বেঁধে না এগোলে, বিধানসভার ভিতরে এবং বাইরে তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই করা কঠিন।