কলকাতা: রাজ্যে পৌঁছল করোনা ভ্যাকসিন। ভারত বায়োটেকের তৈরি কো-ভ্যাকসিন পৌঁছল নাইসেডে। পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য হায়দরাবাদ থেকে আনা হয়েছে ১ হাজার টিকা।


নাইসেড সূত্রে খবর, ভ্যাকসিনগুলি সংরক্ষণ করা হয়েছে মাইনাস ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায়। কো-ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে। সেই কারণেই ১ হাজার টিকা আনা হয়েছে।


পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি বা এনআইভি এবং ভারত বায়োটেকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি কো-ভ্যাকসিন। এক হাজার স্বেচ্ছাসেবককে পরীক্ষামূলকভাবে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।


নাইসেডের অধিকর্তা শান্তা দত্ত বলেন, এটা থার্ড ফেসের ট্রায়াল। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দেশে ২৬ হাজার মানুষের মধ্যে ট্রায়ালের দায়িত্ব পেয়েছে ২৪টি সংস্থা। তার মধ্যে আমরা একটা। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ট্রায়াল শুরু করে দেব।


তিনি যোগ করেন, সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই নাইসেডে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের খবর প্রকাশ্যে আসতেই স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার জন্য আমাদের কাছে মুহূর্মুহূ ফোন আসতে শুরু করেছে। বলেন, প্রচুর লোক আমাকে ফোন করছে, স্বেচ্ছাসেবক হতে চাইছে।


কিন্তু কীভাবে হবে স্বেচ্ছাসেবক বাছাই? নাইসেড সূত্রে দাবি, প্রথমে একটি ফোন নম্বর দেওয়া হবে। যাঁরা ফোনে যোগাযোগ করবেন, প্রাথমিক বাছাইয়ের পর তাঁদের ডেকে শারীরিক পরীক্ষা হবে।


তবে এক্ষেত্রেও রয়েছে বেশকিছু বিধি নিষেধ! যেমন একটি নির্দিষ্ট বয়সসীমা থাকবে। তার মধ্যে থেকে স্বেচ্ছাসেবক বাছা হবে। কেউ আগে করোনা আক্রান্ত হলে স্বেচ্ছাসেবক হতে পারবেন না। স্বেচ্ছাসেবক হতে পারবেন না অন্তঃসত্ত্বারা। তবে ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশনের মতো রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকলে স্বেচ্ছাসেবক হওয়া যাবে। একবার স্বেচ্ছাসেবক হলে ১ বছর নিজের ঠিকানা পরিবর্তন করা যাবে না।


নাইসেড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্বেচ্ছাসেবকদের ২৮ দিনের ব্যবধানে দুটি ডোজ দেওয়া হবে। গোটা প্রক্রিয়া শেষ করতে ২১-এর ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ হয়ে যাবে।


নাইসেড সূত্রে খবর, কো-ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হবে কলকাতার বিদায়ী মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও বিদায়ী ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষকে।