কলকাতা: ডিসেম্বরেই কলকাতায় শুরু হচ্ছে জোড়া ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল।


ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য ভারত বায়োটেকের তৈরি এক হাজার ‘কো-ভ্যাকসিন’ (COVAXIN) এসেছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজিজেস (National Institute of Cholera and Enteric Diseases) বা নাইসেড (NICED)-এ। অন্যদিকে, স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে ‘কোভো-ভ্যাক্স’ (COVOVAX)-এর ট্রায়াল হবে ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর।


নাইসেড সূত্রে খবর, কো-ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয় ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) কাছে। সেই আবেদনেই সাড়া দিয়েছেন কলকাতার বিদায়ী মেয়র। বলেন, নাইসেড থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য প্রথম জোড আমাকে দিতে চায়। আমি রাজি হয়েছি। যে দিন বলবে সেদিনই গিয়ে প্রথম ডোজ নেব।


দেশে করোনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ২০০ জনের। মোট আক্রান্ত ৯৩ লক্ষ ৫১ হাজার ১১০। রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে সাড়ে ৪ লক্ষ। মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজারের বেশি মানুষের। এই পরিস্থিতিতে সবার একটাই প্রশ্ন, কবে আসবে ভ্যাকসিন? এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে গবেষণা চলছে প্রায় ২০০টি ভ্যাকসিন নিয়ে।


এর মধ্যে যে দু’টি প্রতিষেধকের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল হবে কলকাতায়, সেগুলি হল -- পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি (National Institute Of Virology) বা এনআইভি (NIV) এবং ভারত বায়োটেকের (Bharat Biotech) যৌথ উদ্যোগে তৈরি ‘কো-ভ্যাকসিন’। এবং অপর ভ্যাকসিনটি হল ‘কোভো-ভ্যাক্স’।


নাইসেড সূত্রে খবর, যাঁদের শরীরে ‘কো-ভ্যাকসিন’-এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে, তার তালিকা তৈরি হচ্ছে।