কলকাতা: বাগবাজারের স্টোর থেকে শেষ দফার বণ্টনের জন্য আজ কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।


আজ দুপুরে আরজি কর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, এনআরএস, এসএসকেএম হাসপাতালের স্টোরে ভ্যাকসিন নিয়ে যাওয়া হবে। পাশাপাশি, বালিগঞ্জে ডিস্ট্রিক্ট ভ্যাকসিন স্টোরে নিয়ে যাওয়া হবে ভ্যাকসিন।


মঙ্গলবার পুণের সিরাম ইন্সটিটিউট থেকে কলকাতায় পৌঁছেছে করোনার ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড। ইতিমধ্যেই কলকাতা ছাড়া অন্য সমস্ত জেলার টিকা সংরক্ষণ কেন্দ্রে পৌঁছে গিয়েছে ভ্যাকসিন।


বাগবাজারে স্বাস্থ্য দফতরের ভ্যাকসিন স্টোর থেকে উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পুরুলিয়া সহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয় ভ্যাকসিন। উত্তরবঙ্গেও পৌঁছে গিয়েছে ভ্যাকসিন।


শনিবার থেকে রাজ্য সহ দেশে শুরু হবে করোনার টিকাকরণ প্রক্রিয়া। প্রশাসন সূত্রে খবর, টিকাকরণ পর্বে গোটা প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করবেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা।


স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, প্রথম পর্যায়ে রাজ্যে ৬ লক্ষ ৪৪ হাজার ৫০০ জনের টিকাকরণ হবে। রাজ্যে কর্মরত কেন্দ্রীয় সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীদেরও টিকাকরণের দায়িত্ব নেবে রাজ্য সরকার।


মোট ১১ হাজার ১২০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। সবথেকে বেশি ভ্যাকসিন কলকাতার জন্য বরাদ্দ হয়েছে। শহরে টিকাকরণ হবে ৯৩ হাজার ৫০০ স্বাস্থ্যকর্মীর।


২ নম্বরে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় ৪৭ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দেওয়া হবে। ৩ নম্বরে থাকা মুর্শিদাবাদে টিকাকরণ হবে ৩৭ হাজার ৫০০ স্বাস্থ্যকর্মীর। কো উইন অ্যাপে টিকাকরণ সংক্রান্ত তথ্য মিলবে।


টিকাকরণের জন্য বুধবার বর্ধমানে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসে ভ্যাকসিন পৌঁছয়। পূর্ব বর্ধমান জেলার জন্য সাড়ে ৩১ হাজার ভ্যাকসিন এসেছে। জেলার মোট ১৩টি কেন্দ্রে টিকাকরণ শুরু হবে।


পশ্চিম বর্ধমান জেলার জন্য আসানসোলে পৌঁছেছে ১৯ হাজার ভ্যাকসিন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অশ্বিনীকুমার মাঝি জানান, ১০টি কেন্দ্র থেকে টিকাকরণ, প্রথমদিন এক হাজার জনের টিকাকরণের টার্গেট রাখা হয়েছে।


বুধবার বহরমপুরে পৌঁছল সাড়ে ৩৭ হাজার ভ্যাকসিন। ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ স্টোরে মজুত রয়েছে টিকা। মুর্শিদাবাদ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, প্রথম দিন থেকেই ২৬টি ব্লকে ভ্যাকসিনেশন হবে।


প্রায় ২৬ হাজার ভ্যাকসিন এসেছে মেদিনীপুরেও। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে, প্রথম পর্যায়ে ২৫টি কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন ১০০ স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দেওয়া হবে।


পুরুলিয়া জেলার স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ১৮ হাজার ভ্যাকসিন এসেছে। ২০টি ব্লকেই টিকাকরণ হবে বলে জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন।