কলকাতা: কার্যত সর্বসম্মতভাবেই জোটের পক্ষে দাঁড়াল রাজ্য সিপিএম। দলের রাজ্য কমিটির বৈঠকে প্রায় সব জেলাই জানিয়ে দিল, রাজ্য জুড়ে শাসকদলের সন্ত্রাস মোকাবিলায় এই মুহূর্তে জোটের প্রয়োজন রয়েছে। রিপোর্ট পেশ করে রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের ঘোষণা, জোট করে কোনও ক্ষতি হয়নি। বরং লড়াইয়ের পরিবেশ তৈরি করা গেছে।


বামফ্রন্টের শরিকদের তোলা যাবতীয় প্রশ্ন হেলায় উড়িয়ে দিয়ে জোরালো ভাবে জোটের পক্ষে দাঁড়ালো সিপিএম। শনিবার রাজ্য কমিটির বৈঠকে প্রায় সমস্ত জেলাই একযোগে জানিয়ে দিল, এখনও জোটের দরকার রয়েছে।

জোট করা উচিত হবে কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন ভোটের আগে মার্চ মাসে রাজ্য কমিটির বৈঠকে জোটের পক্ষে ভোট পড়েছিল ৪৩ টি। বিরুদ্ধে পড়েছিল ১১টি।

শনিবার রাজ্য কমিটির বৈঠকের প্রথম দিনে জেলাগুলির পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখার পর দেখা যায়, জলপাইগুড়ি ও বর্ধমান বাদে সমস্ত জেলাই জোরালো ভাবে সওয়াল করেছে জোটের পক্ষে।

ব্যতিক্রমী সুরে জলপাইগুড়ি, বর্ধমানের বক্তব্য, ভোট মিটে যাওয়ার পর এই জোটের প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা, তা ভেবে দেখা উচিত নেতৃত্বের।
রাজ্য সম্পাদক সুর্যকান্ত মিশ্রের বক্তব্য, ভোটের পরও জোটের দরকার আছে। সভায় রিপোর্ট পেশ করে তাঁর দাবি, জোট হয়েছিল বলেই আমরা জিততে পারি, এমন পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব হয়েছিল। জোটের পক্ষে ভোট পড়েছে ২ কোটি ১৫ লক্ষ। যাঁরা ভোট দিয়েছেন বা জোটের হয়ে কাজ করেছেন, আজ তাঁরা আক্রান্ত। আক্রমণের মোকাবিলা করতেই এখনও জোটের প্রয়োজন রয়েছে।

জেলাগুলি বক্তব্য রাখার করার পর, এবার গণসংগঠনের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখবেন বৈঠকে। রবিবারও চলবে বৈঠক। কিন্তু শনিবার সাফ হয়ে গেল, শেষপর্যন্ত কী অবস্থান নিতে চলেছে দল। রাজ্য কমিটি তাদের এ অবস্থান স্পষ্ট করল কারাটের উপস্থিতিতেই। শুক্রবার ফ্রন্টের বৈঠকে জোট সম্পর্ক ছিন্ন করে বামফ্রন্টগতভাবে তৃণমূলের মোকাবিলার পক্ষে সওয়াল করেছিল শরিকরা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জোট-প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল আলিমুদ্দিন।