কলকাতা: বিধানসভা ভোটের আসন-রফা ও যৌথ কর্মসূচি নিয়ে বাম-কংগ্রেসের বৈঠকের দিনই ভাঙন সিপিএমে!! বিজেপিতে যোগ দিলেন কলকাতা পুরসভার ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী সিপিএম কাউন্সিলর রিঙ্কু নস্কর।


ছাত্র আন্দোলন দিয়ে রাজনীতিতে হাতেখড়ি!২০১০ সালে বামবিরোধী হাওয়ার মধ্যে কলকাতা পুরভোটে জিতে কাউন্সিলর হন রিঙ্কু৷কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রিঙ্কু ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে সিপিএমের হয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

তৃণমূল প্রার্থী সিএম জাটুয়ার কাছে, ১ লক্ষ ৩৮ হাজারের বেশি ভোটে হেরে যান তিনি। তবে ২০১৫-র পুরভোটে কলকাতা পুরসভার ১০২ নম্বর ওয়ার্ডে ফের জেতেন রিঙ্কু। বিভিন্ন ইস্যুতে বামেদের পক্ষে তাঁর জোরাল সওয়াল নজর কেড়েছিল।

বিধানসভা ভোটের আগে এই তরুণ সিপিএম নেত্রী অনুগামীদের নিয়ে মিছিল করে সদলবলে নাম লেখালেন গেরুয়া শিবিরে। তিনি বলেছেন, মানুষের জন্য কাজ করার জন্য দলবদল।কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি, উনি ওনার মতো কাজ করেন, আমি আমার মতো। রিঙ্কু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর, দল ভাঙানো নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে সিপিএম।সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ওর স্বামী আগেই বিজেপিতে গিয়েছিলেন। এখন তিনি গেলেন। তবে যাঁরা তাঁকে নির্বাচিত করেছিলেন, তাঁরা এটা ভালোভাবে নেবেন না। এ কথা তিনি শীঘ্রই টের পাবেন।

সূত্রের দাবি, দু’সপ্তাহ আগে এরাজ্যে এসে, সাংগঠনিক বৈঠকে অমিত শাহ বলেছিলেন,

সিপিএম-কংগ্রেস-তৃণমূল থেকে যারা আসতে চায়, ভোট বোঝে, তাঁদের আনতে হবে।

মঙ্গলবার শুধু সিপিএম নয়, কংগ্রেস থেকেও কয়েকজন বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, প্রায় ৩০০ জন দলে যোগ দিয়েছেন। আরও অনেকেই আসবেন।

রিঙ্কু নস্কর যে ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর, সেটি যাদবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে যাদবপুর কেন্দ্রে জিতেছিলেন সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী। তাঁর প্রচারে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন রিঙ্কুই।