কলকাতা: চিকিৎসা নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে ফের কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার, এবিপি আনন্দর স্টুডিওয় এসে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ৮ কোটি মানুষকে সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা। সরকারি হাসপাতালের লোকেরা জীবনপাত করে কাজ করেন। তাঁদের স্যালুট। তবে বেসরকারি হাসপাতালের কিছু অংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কারও ভুল চিকিৎসার জন্য কেউ মারা গেলে, বাড়ির লোক কমপ্লেন করতেই পারে। বন্দুক দিয়ে গুলি করে মারা, আর চিকিৎসায় অবলেয়ায় মৃত্যু...সেটাও অপরাধ।
যদিও, মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন, রাজ্যের আনা স্বাস্থ্য বিল ডাক্তারদের বিরুদ্ধে নয়। বলেন, ডাক্তারবাবুদের ভয় পাওয়ার কারণ নেই। তাঁর মতে, ০.১ পার্সেন্টের জন্য কেন ৯৯ পার্সেন্ট ভিক্টিম হবে কেন? যারা অপরাধ করে, তাদের মনে ভয় থাকে। সৎ চিকিৎকরা এই বিলে খুশি বলেও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, যাঁরা চিকিৎসাকে সেবা মনে করেন, তাঁরা বিলের পক্ষে। আমি কোনও হাসপাতালের বিরুদ্ধে নই। তবে নির্দিষ্ট অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রী ফের একবার মনে করিয়ে দেন, চিকিৎসা আর প্রোমোটিং এক নয়। পা কাটার চিকিৎসার আগে দরাদরি কেন? দেহ আটকে রাখা হবে কেন? এই সব প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, গ্রিভ্যান্স জানানোর জায়গা থাকা উচিত।
একইসঙ্গে ভাঙচুর নিয়েও সোচ্চার হন তিনি। বলেন, ভাঙচুর ইদানিং বেড়ে গিয়েছে। মিথ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে শাস্তি হওয়া উচিত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা জানান, তিনি এই আইন আচমকা করেননি। বলেন, এই আইন হঠাৎ করিনি। ৮-১০ বছর ধরে নজর রাখছি।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, একমাত্র বাংলায় বিনা পয়সায় সরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসা হয়। আমরা আসার পর ১০ হাজার ডাক্তার, নার্স নেওয়া হয়েছে। ২৭ হাজার বেড বেড়েছে। সদ্যোজাতর মৃত্যুর হার কমেছে। প্রতি বছর ৩ হাজার শিশুকে বিনা পয়সায় হার্ট অপারেশন। ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান ও ডায়গনিস্টিক সেন্টার। এদিন ফের বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলিকে, ফেয়ার প্রাইস মেডিসিন শপ ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালুর কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
--