কলকাতা: ব্যস্ত অফিস টাইমে শহরে মেট্রোয় নজিরবিহীন বিভ্রাট। পাতালে ১৫ মিনিট বন্ধ বিদ্যুত্‍ সংযোগ। দাঁড়িয়ে পড়ল বহু ট্রেন, যাত্রীদের চূড়ান্ত দুর্ভোগ, অন্ধকার সুড়ঙ্গে তীব্র আতঙ্ক। একসঙ্গে চারটি সাব-স্টেশন বসে যাওয়াতেই বিপত্তি, সাফাই মেট্রোর।


ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার সকালে।

রোজকার মতো ব্যস্ত অফিস টাইমে ব্যস্ততা ছিল মাটির নীচেও। দমদম থেকে নিউ গড়িয়া পর্যন্ত রুটে তখন বিভিন্ন জায়গায় ১৬টি ট্রেন।

সকাল ৯টা ৫১। একটি ট্রেন বেলগাছিয়া স্টেশন ছেড়ে দৌড়তে শুরু করে শ্যামবাজারের দিকে।

সকাল ৯টা ৫৩ মিনিটে ট্রেনটি যখন শ্যামবাজার স্টেশনে ঢুকছিল,  তখনই নিভে যায় পাতালের আলো। ট্রেনের ৩টি কামরা প্ল্যাটফর্মে ঢুকতে পারলেও বাকি ট্রেন রয়ে যায় অন্ধকার সুড়ঙ্গে। গাঢ় অন্ধকারে আটকে পড়েন অসংখ্য যাত্রী। অন্যান্য স্টেশনে আটকে পড়ে আরও ১৫টি ট্রেন।

যাত্রীরা জানিয়েছেন, অক্সিজেনের অভাবে কামরার ভিতরে দমবন্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়। অভিযোগ, মিনিট দশেক মেট্রোর তরফে কোনও ঘোষণা করা হয়নি। ফলে, কী হয়েছে, তা জানতে না পেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা।

যদিও মেট্রো রেলের দাবি, অন্ধকার সুড়ঙ্গে আটকে পড়েনি কোনও ট্রেন।

মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানান, মিনিটখানেকের মধ্যেই শ্যামবাজার স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে আনা হয় ট্রেনটিকে। ৯টা ৫৩য় বিদ্যুত্ চলে যায়। ১০টা ৮-এ স্বাভাবিক হয়ে যায় পরিস্থিতি।

যাত্রীদের আরও অভিযোগ, অন্ধকার সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ট্রেনগুলিতে ইমার্জেন্সি আলো জ্বলেনি। মেট্রো রেলের দাবি, আলো জ্বলেনি মাত্র একটি ট্রেনে।

কেন বন্ধ ছিল ইমার্জেন্সি আলোর স্যুইচ? উত্তর দিতে পারেনি মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছেন, এনিয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।

বিদ্যুৎ-বিভ্রাটে মেট্রো চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন স্টেশনে উপচে পড়ে যাত্রীদের ভিড়। ব্যস্ত অফিস টাইমে চরম দুর্ভোগে পড়েন তাঁরা। স্টেশনে স্টেশনে দেখা দেয় চরম বিশৃঙ্খলা।

মেট্রো কর্তৃপক্ষর দাবি, বিদ্যু‍ৎ সংযোগ চালু হওয়ায় মিনিট ১৫ পর স্বাভাবিক হয় মেট্রো চলাচল। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন যাত্রীরা।

কিন্তু কীভাবে ঘটল এই ঘটনা?

অন্ধকার পাতালের মধ্যে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় কে নিত? প্রশ্ন মেট্রো যাত্রীদের।