কলকাতা: ২২ অক্টোবর। পঞ্জিকা অনুযায়ী এবার সেদিনই মহাষষ্ঠী আর দুর্গা পুজোর শুভারম্ভ। হাতে সময় ৫ মাস। এরই মধ্যে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার পুজো কমিটির প্রতিমার বরাত পেয়ে গেলেন কুমোরটুলির মৃৎশিল্পী মিন্টু পাল। গত বছর সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে সোনার দুর্গা প্রতিমা গড়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন পটুয়াপাড়ার মিন্টু দা। তারও আগে দেশপ্রিয় পার্কের বড় দুর্গা, সেই বিস্ময়সৃষ্টিও তৈরি হয়েছিল তাঁরই হাতে। এবার বাজার খারাপ, তাই এখনও সেভাবে বড় পুজোর বায়না হয়নি। তবে মিন্টু পালের ঠাকুর যাচ্ছে অস্ট্রিয়া আর ফ্রান্সে। প্রতিমার বায়না হয়েছে আগেই। ঠিক ছিল, এবছর এপ্রিল কিংবা মে মাসেই প্রতিমা বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু করোনার কারণে কাজ কিছুটা থমকে। প্রতিমা তৈরি তবে একেবারে ফিনিশ হয়নি। এবিপি আনন্দকে শিল্পী জানিয়েছেন, “শীতলা পুজো হচ্ছে না। লক্ষ্মী, গণেশের বাজারও খারাপ গিয়েছে। আগে থেকে কথাবার্তা হয়ে থাকার কারণে অস্ট্রিয়া আর ফ্রান্সে ঠাকুর পাঠাব।”



মহামারী করোনার কারণে পরিবহণের সব মাধ্যমই  তো বন্ধ। বিদেশে প্রতিমা  পাঠাবেনই বা কীভাবে? মিন্টু পালের উত্তর, “লকডাউন কেটে গেলেই কথা বলব। জাহাজে না গেলে বিমানে পাঠাব। তবে এখনই সেসব নিয়ে পাকাপোক্ত কোনও কথা হয়নি।”


এদিকে করোনার কারণে নিউ জার্সিতে প্রতিমা পাঠাতে পারলেন না প্রদ্যুৎ পাল। ঠিক ছিল, এবছর আমেরিকার নিউ জার্সির দুর্গোৎসব কমিটি কুমোরটুলি থেকে নতুন প্রতিমা নিয়ে গিয়ে পুজো করবে। তবে কোভিড-১৯-এর মারণ থাবায় সেদেশের যা অবস্থা তাতে কুমোরটুলি থেকে এবছর প্রতিমা নিচ্ছে না তারা। প্রাথমিক কথা বার্তা হলেও ব্রিটেনেও যাচ্ছে না শিল্পভারতীর তৈরি ফাইভার প্রতিমা। বায়না বলতে এখনও পর্যন্ত কাকিনাড়ার একটি পুজোর বরাত পেয়েছেন প্রদ্যুৎ পাল।


উৎসাহ থাকলেও পুজো নিয়ে এখনই কোনও বিশেষ পরিকল্পনা নেই শিল্পী পরিমল পালেরও। থিমমেকার পরিমল এবার স্রেফ দমদমের তরুণ সঙ্ঘের পুজোই করবেন। তবে করোনার কারণে কাটছাট হতে পারে বাজেটে। পুজো কমিটির সঙ্গে একদফা কথা হলেও পাকাপাকি কোনও পরিকল্পনা করা হয়নি বলেই জানিয়েছেন শিল্পী। যদিও পরিমল পাল বলেন, “হাতে ২ মাস সময় পেলেই খেলা ঘুরিয়ে দেওয়া যাবে। ভাল কিছু ভাবনা বাস্তবায়িত করা সম্ভব।”